বিশেষ করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারের সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের বেহাল দশা। পাগলা বাজারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় ২শ ফুট সড়ক বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে ভরা।
এদিকে পাগলা থেকে ৩০ মিনিট দূরত্বে সুনামগঞ্জ উপজেলা। সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট যাওয়ার সড়ক ছাতক উপজেলার জাওয়া বাজার-গোবিন্দগঞ্জ সড়কও একে বারে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে আছে।
বিগত কিছু দিন আগে ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে মেরামত করলেও বৃষ্টিতে তা আবার নষ্ট হয়ে গেছে। আগের মতোই গর্তে পরিণত হয়েছে সড়কটি। এই সড়কটির পাশে রয়েছে ছাতক উপজেলার সবচয়ে বড় বাজার জাওয়া বাজার সেখানে গরুর হাট থেকে শুরু করে সব ধরনের হাট বসে। তাই এই সড়কটিতে মানুষের চলাচলও বেশি। কিন্ত বর্তমানে এই সড়কটিই সংস্কারের অভাবে সবচেয়ে অবহেলায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি মেরামত করা হয় না বলে অভিযোগ জাওয়া বাজার এলাকাবাসীর।
সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট যাওয়ার একমাত্র সড়কটি মেরামত না করায় যাত্রীদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জাওয়া বাজার উপজেলার সবচেয়ে বড় বাজার হওয়ার কারণে এই বাজারটিতে বিপনী বিতাণের পরিমাণও অনেক বেশি। ভাঙা সড়কের কারণে বাজারের লোকজনও সড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া আসা করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। সুনামগঞ্জ থেকে সিলেটগামী বাসের একযাত্রী জুবেল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই সড়কের কয়েকটি স্থান রয়েছে যা খুব ভাঙা ও চলাচলের অনুপযোগী। ব্যক্তিগত কাজে আমাকে মাসে কয়েকবার সিলেটে যেতে হয়। কিন্ত সড়কের কোনো উন্নতি দেখছি না। একটি গাড়ি গেলে পাশ দিয়ে আরেকটি গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। আর পাগলা ও জাওয়াবাজার সড়কের কথা তো বলে লাভ নেই। সড়কের এই দু’টি স্থান কবে ঠিক হবে তা আল্লাহ জানেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা শহীদ নূর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের পাগলা বাজার সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। যেন দেখার কেউ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই কাদায় একাকার হয়ে যায়। গর্তগুলো পানি ভরে গিয়ে সেটি আরও বড় হয়ে যায়। দিন দিন সড়কের অবস্থা খারাপ হচ্ছে’।
জাওয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা রাজু আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘জাওয়া বাজারের সড়কটি অনেক ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। কিছু দিন আগে ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে সামান্য মেরামত করা হয়েছিল। কিন্ত বৃষ্টির পর তা আর ঠিকেনি। এখন আগের মতোই অবস্থা। আবার খানাখন্দে ভরে গেছে। গাড়ি চলাচল করতেও চালকরা নানান অসুবিধার সম্মুখীন হন’।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই আমাদের অধীনে যতো সড়ক রয়েছে সবগুলোর মেরামত করার কাজ শুরু করে দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব সড়ক আমরা মেরামত করতে পারবো। জাওয়া বাজার সড়কে কাজ করা হয়েছে। আর পাগলা সড়কে বাসের যাত্রী ওঠানামা করে তাই ওখানে কাদা জমে থাকতে পারে। যদি ভাঙা থাকে তাহলে মেরামত কাজ করা হবে’।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
এএটি