এসব বিষয় বিবেচনা করে এবছর সিরাজগঞ্জের ৯৯ কিলোমিটার মহাসড়ক আগে থেকেই প্রস্তুত করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলগামী মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক মহাসড়ক মনিটরিং করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ-১, ২ ও ৩ নম্বর কার্যালয় সূত্র জানায়, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর ঘিরে চারটি মহাসড়ক। এর মধ্যে হাটিকুমরুল-বঙ্গবন্ধু সেতু সাড়ে ১৮ কিলোমিটার মহাসড়ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। হাটিকুমরুল-পাবনা মহাসড়কের বাঘাবাড়ি ঘাট পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার রুটের ১১ কিলোমিটার পিঅ্যান্ডপি প্রকল্পের আওতায় পুনঃসংস্কার করা হয়েছে। বাকি ২৭ কিলোমিটার রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলছে।
হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়কের চান্দাইকোনা বাজার পর্যন্ত সাড়ে ১৭ কিলোমিটার রুটের ১৪ কিলোমিটার সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি সাড়ে তিন কিলোমিটারের কাজ চলমান। হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ১০ নম্বর সেতু পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে ১৬ কিলোমিটার ভালো আছে। এ রুটের খালকুলা থেকে মান্নান নগর পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দে হেরিংবন করা হয়েছে। এছাড়াও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলমান।
বুধবার (২৩ মে) হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় কথা হয় বাস-ট্রাকচালক, হেলপার ও যাত্রীদের সঙ্গে। তারা জানান, কোথাও কোথাও রাস্তার সংস্কার হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও কাজ চলছে। কিন্তু কাজ শেষ হলেও অতিবৃষ্টির কারণে বিটুমিন উঠে গিয়ে আবারও গর্ত সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও হাটিকুমরুল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের নলকা সেতুটি জীর্ণ হওয়ায় সেখানে এসে যানবাহনগুলোর গতি কমিয়ে দিতে হচ্ছে। ফলে এ সেতু ঘিরে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের (বগুড়া জোন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, হাটিকুমরুল-চান্দাইকোনা মহাসড়কে ধীরগতিতে সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। অপরদিকে বনপাড়া মহাসড়কের ৯ কিলোমিটার মূল মহাসড়ক হেরিংবন করা হলেও তার পাশ দিয়ে কম গতির যানবাহন চলাচলের বাইপাস সড়কটির অবস্থা একেবারেই খারাপ। এতে কম গতিসম্পন্ন যানবাহন বাধ্য হয়ে মূল মহাসড়কে চলতে হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনা ও যানজটের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগী প্রকৌশলী এ কে এম জহুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগে সব মহাসড়কের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষ হবে। হাটিকুমরুল-বাঘাবাড়ি ৩৮ কিলোমিটার রুটের ১১ কিলোমিটার পিঅ্যান্ডপি প্রজেক্টের মাধ্যমে সংস্কার শেষ হয়েছে। বাকি ২৭ কিলোমিটার রক্ষণাবেক্ষণ কাজের মাধ্যমে খানা-খন্দ পূরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও ডিপার্টমেন্টের তিনটা গাড়ি সার্বংক্ষণিক মনিটরিংয়ে প্রস্তুত রয়েছে। দুই লাখ ইটও মজুদ রয়েছে। বৃষ্টির কারণে যখন যেখানে সমস্যা সৃষ্টি হবে সেখানেই রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হবে।
নলকা সেতুটিও ঝুঁকিমুক্ত বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, হাটিকুমরুল-রোড থেকে চান্দাইকোনা ৩ কিলোমিটার সংস্কারকাজ বাকি রয়েছে। বৃষ্টির কারণে কাজের গতি কিছুটা কম। তবে বৃষ্টি কমলে ৭ দিনের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১১ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এএ