আগামী ঈদকে সামনে রেখে নয়, সারাবছরই যেন সড়কগুলো ভাল থাকে এই লক্ষে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মীরা নিয়মিত কাজ করে চলেছেন। ইতোমধ্যেই জয়পুরহাট-মঙ্গলবাড়ী ১০ কিলোমিটারের আঞ্চলিক সড়কটি সংস্কার (পিএমপি মেজর) করে পিচঢালা সড়কে পরিণত করেছে।
অন্যদিকে জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কের জয়পুরহাট রেলগেট থেকে পুনট বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ১৮ ফিট থেকে বাড়িয়ে ২৪ ফিটে উন্নীত করার লক্ষে দু'টি প্রজেক্ট পাস হয়েছে। যার একটি পুনট বাসস্ট্যান্ড থেকে মাটির ঘর পর্যন্ত অন্যটি মাটির ঘর থেকে জয়পুরহাট রেলগেট পর্যন্ত। এরমধ্যে প্রথম প্রজেক্টটি ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
বুধবার (২৩ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে জয়পুরহাটের ওই তিনটি আঞ্চলিক সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কের সরকারি গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পুনট বাসস্ট্যান্ড থেকে মাটির ঘর পর্যন্ত ৫০% প্রশস্তকরণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে জয়পুরহাট জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াতের জন্য বটতলী ব্রিজ ও কুঠিবাড়ী ব্রিজ অতিক্রম করতে হয়। এ দু'টি ব্রিজ কিছুটা দুর্বল হওয়ায় নতুন করে নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যেই ওয়ার্ক অর্ডার ও সয়েল টেস্ট সম্পন্ন করেছে 'মনিকা কনস্ট্রাকশন' নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
জয়পুরহাট জেলা বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান বেদারুল ইসলাম বেদিন বাংলানিউজকে জানান, জয়পুরহাটের তিনটি আঞ্চলিক মহাসড়কই যানবাহন চলাচলের জন্য উপযুক্ত। তবে এসব সড়কের দিয়ে প্রায়ই নছিমন-করিমনসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন চলাচল করে। যে কারণে বিভিন্ন সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হচ্ছে বহু মানুষকে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষের নজরদারি প্রয়োজন বলেও জানান এই নেতা।
জয়পুরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তিনটি আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের জন্য উপযোগী করা হয়েছে। এরমধ্যে জয়পুরহাট-মঙ্গলবাড়ী সড়কটি পিএমপি মেজরের মাধ্যমে সংস্কার করা হয়েছে ও জয়পুরহাট-বগুড়া সড়কের পুনট বাসস্ট্যান্ড থেকে জয়পুরহাট রেলগেট পর্যন্ত প্রশস্তকরণ কাজের প্রথম প্রজেক্টের ৫০% কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে।
জয়পুরহাট শহরের রেলগেট থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের পূর্ব পাশের সরকারি কবরস্থান পর্যন্ত ফোর লেন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যেই একনেকে একটি বিল পাস হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৮
এএটি