এতে নারী ক্রীড়াবিদরা স্বচ্ছন্দ্যে তাদের কাজ করতে পারেন। একইসঙ্গে সরকারি আধাসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খেলোয়াড়দের নিয়োগের বিষয়ে অগ্রাধিকার দিয়ে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ পাঠাতে বলেছে কমিটি।
রোববার (২৭ মে) বিকেলে সংসদ সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব করা হয়।
কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী বীরেন শিকদার, এএম নাইমুর রহমান, মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি জাহিদ আহসান রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, 'অনেক সময় বিদেশি টুনার্মেন্টে নারী ক্রীড়াবিদরা যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন বা সুযোগও থাকে। তাই আগামীতে বিদেশে কোনো নারী ক্রীড়াবিদ কোনো খেলায় অংশ নিলে তার সঙ্গে যেন একজন নারী কর্মকর্তা পাঠানো হয় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই প্রথম সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ক্রীড়াঙ্গণে সফল নারী ক্রীড়াবিদদের ডাকা হয়েছিল, তারা তাদের দাবি তুলে ধরেছেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেসব দাবি পূরণের চেষ্টা করা হবে।
বিভিন্ন ক্রীড়াঙ্গণে কোচিংয়ের জন্য ডিপ্লোমা কোর্স বা উচ্চতর ডিগ্রি চালু করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেশিয়ামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে সব ক্রীড়াবিদদের জন্য উন্মুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৈঠকে মাদক প্রতিরোধকল্পে যুব সমাবেশ, র্যালি, মানববন্ধন ও অন্যান্য জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কে এবং ক্রীড়াঙ্গণে সাফল্য অর্জনকারী নারীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য, সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, ২০১৭ -২০১৮ অর্থবছরে যুব সংগঠন ও সফর যুবদের অংশগ্রহণে মাদকের অপব্যবহার রোধ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখাসহ প্রতিটি জেলায় দুইটি, উপজেলায় দুইটি, প্রধান কার্যালয়ে দুইটিসহ মোট এক হাজার ১শ ২০টি জনসচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজনের সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রধান কার্যালয়ে দুইটি কর্মশালা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
ক্রীড়াঙ্গণে সাফল্য অর্জনকারী নারীদের জাতীয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থার মাধ্যমে সংসদীয় কমিটিতে উপস্থিত করে তাদের বক্তব্য শোনার জন্য সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
কমিটি সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর অনুরোধে ক্রীড়া ক্ষেত্রে সফল নারীদের কমিটির বৈঠকে আমন্ত্রণ করা হয়।
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গণে নারীদের উত্তরোত্তর সাফল্যকে ধরে রাখা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গণে আরো সফলতার স্বাক্ষর রাখার জন্য আন্তর্জাতিক মানের কোচ, ফিজিও রাখাসহ তাদের উন্নত নিউট্রেশন ব্যবস্থা এবং জিমনেশিয়াম ব্যবহারের প্রতি আরো নজরদারি বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।
নারী খেলোয়াড়রা যাতে অনুশীলনের ব্যাপক সুযোগ পায় সেজন্য বিদেশি প্রতিযেগিতায় অংশগ্রহণের আগে তাদের ক্যাম্পিংয়ের সময় আরও বৃদ্ধি করা ও তাদের সঙ্গে অবশ্যই নারী কর্মকর্তাদের রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিভাগ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নারীদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করার জন্য নারীদের জন্য স্থানীয় খেলার মাঠে নারীদের খেলার জন্য নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ রাখার পরামর্শ করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এসএম/এএটি