ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ১০ জুনের মধ্যে 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ১০ জুনের মধ্যে  সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আগামী ১০ জুনের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের মে মাসের বেতন ও উৎসব ভাতা (বোনাস) পরিশোধের অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

রোববার (২৭ মে) সচিবালয়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
 
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ অথবা ১৭ জুন দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।


 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ জুনের মধ্যে শ্রমিকদের মে মাসের বেতন পরিশোধ ও ১০ জুনের মধ্যে উৎসব ভাতা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট সাহেবরাও (মালিক সংগঠনগুলোর) বলে গেছেন তারা এটা সময়মতো পরিশোধ করে দেবেন।
 
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পোশাক কারখানায় ১৩, ১৪ ও ১৫ জুন পর্যায়ক্রমে ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে যানজটের তীব্রতা কমানোর জন্য আমরা এই রিকোয়েস্ট করেছি। বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। যদিও তারা বলেছেন, জুন-জুলাই মাসটা হলো তাদের সিজন। তারপরও চেষ্টা করবেন যাতে ছুটিটা ভাগে ভাগে দেওয়া যায়।
 
তিনি বলেন, গার্মেন্টসের বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা সমাধানের জন্য বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শ্রম মন্ত্রণালয়, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সমন্বয়ে একটি কমিটি করার বিশেষ আলোচনা হয়েছে। এটা ক্রাইসিস মোমেন্টের জন্য, ঈদের আগের কয়েক দিনের জন্য।
 
‘রাজধানীসহ সারাদেশের বড় ঈদের জামাতগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসবো। আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর ও চেকপোস্টের ব্যবস্থা থাকবে। ’
 
মার্কেটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্বর্ণের দোকানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বড় মার্কেটগুলোতে যাতে জাল টাকা লেনদেন না হয় সেজন্য মেশিন সরবরাহ করা হচ্ছে।
 
অজ্ঞান বা মলম পার্টি, ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পহেলা রমজান থেকে ৭২ জন অজ্ঞান পার্টির সদস্য ও ৩৬ জন ছিনতাইকারী ধরা হয়েছে। ঢাকার প্রবেশ ও বহির্গমন পথে যানজট রোধে প্রচেষ্টা থাকবে। মহাসড়কেও যানজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাঁচপুর ও চন্দ্রা এলাকায় পুলিশ কন্ট্রোল রুম থাকবে।
 
‘মহাসড়কে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে আনসার নিয়োগ করা হবে। ঈদে নাশকতা রোধে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হবে। ’
 
বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, টিকিট কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা তৎপরতা থাকবে। রাস্তায় চাঁদাবাজি রোধে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে থাকবে জেলা পুলিশ ও র‌্যাবের টহল।
 
মন্ত্রী বলেন, ১৪ জুন সরকারি ছুটির দিন। ওইদিন শিল্প এলাকাগুলোতে যেখানে গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি ও অন্য ইন্ডাস্ট্রি, মার্কেট রয়েছে সেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
 
সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, বিজিএমইএ’র (তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি) সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।