ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বৃষ্টিতেই জোড়াতালির সড়ক-সংস্কার!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪১ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
বৃষ্টিতেই জোড়াতালির সড়ক-সংস্কার! জোড়াতালির সড়ক-সংস্কার। ছবি: বাংলানিউজ

ঝালকাঠি : উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা, তাই বৃষ্টির মধ্যেই ঝালকাঠি থেকে পিরোজপুর ও খুলনা যাওয়ার সড়কটিতে গর্ত ভরাটের কাজ চলছে। টেকসই হোক বা না হোক। প্রথমে গর্তে খোয়া (ইটের টুকরো) দিয়ে গর্ত ভরাট করা হচ্ছে। তারপর সেখানে পিচের সঙ্গে পাথর মিশিয়ে তা ঢেলে দিয়ে বালুচাপা দেয়া হচ্ছে।

বৃষ্টির পানিতে বালু যাচ্ছে সরে। যানবাহনের চাকায় ভেজা পিচমাখানো পাথর যাচ্ছে উঠে।

তারপরও এভাবেই দ্রুত সময়ের মধ্যে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বেকুটিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত জেলা সড়কটির সংস্কারকাজ শেষ করতে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। ফলে কাজের স্থায়িত্ব নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন।

সংস্কারের কাজে নিয়োজিত ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারীরা জানান, বরিশাল ও ঝালকাঠি সদর থেকে পিরোজপুর ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে।   রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বেকুটিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের মতো রাস্তায় বেশকিছু জায়গায় ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। জোড়াতালির সড়ক-সংস্কার।  ছবি: বাংলানিউজমহাসড়ক না হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের যেটুকু সড়ক ঝালকাঠি জেলার মধ্যে রয়েছে তা সংস্কারের কাজ আজ থেকে ৫ দিন আগে শুরু করা হয়েছে। যা কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ করা যাবে। তবে বৃষ্টির কারণে কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।

আর বৃষ্টির মধ্যে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কারণে কয়েক দিনের মধ্যেই গর্তগুলো আবার আগের অবস্থানে ফিরে যাবে বলে হতাশা ব্যক্ত করেছেন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী একটি পরিবহনের চালক নিজাম। বৃষ্টিতেই জোড়াতালির সড়ক-সংস্কার।  ছবি: বাংলানিউজসরেজমিনে দেখা গেছে, ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন রাজাপুর থেকে বেকুটিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত রাস্তায় ছোট-বড় কিছু গর্ত থাকলেও জেলার ঝালকাঠি (বরিশালের কালিজিরা ব্রিজ সংলগ্ন ঝালকাঠির অংশ থেকে) -ভাণ্ডারিয়া পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক বেশ পরিপাটিই রয়েছে। তবে রাজাপুর বাজার থেকে ঝালকাঠির দিক আসতে কিছু জায়গায় ছোট-ছোট গর্ত রয়েছে, যা বড় যানবাহনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো সমস্যার সৃষ্টি করে না বলে জানিয়েছেন চালকরা।

তবে প্রশস্ত করণের জন্য সড়কের দুইপাশে খোঁড়া গর্ত ভরাট না করায় অনেক জায়গাতেই রাস্তা যেমন দেবে গেছে, তেমনি দেখা দিয়েছে দুর্ঘটনার শঙ্কাও।

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগসূত্রে জানা গেছে, ১ মাস আগে ঝালকাঠি অংশের ৩৯ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সড়কের দুই পাশ ৩ ফুট করে প্রশস্ত করে গর্ত করার কাজ প্রায় শেষের পথে। অনেক জায়গাতেই সেই গর্ত খোয়া-পাথর ও বালুর মিশ্রণ দিয়ে ভরাটের কাজও শুরু করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ অংশে খোঁড়া গর্ত খালি পড়ে রয়েছে।

এ সড়কের নিয়মিত চালকরা জানান, খোঁড়া গর্তের কারণে পাশাপাশি বড় দুটি গাড়ি ক্রচিং করাতেও ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। গর্তের বেশি পাশে গেলে সড়ক দেবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই যতো দ্রুত সম্ভব এগুলো ভরাট করা উচিত।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, ঝালকাঠির আওতাধীন আঞ্চলিক মহাসড়কের ৩৯ কিলোমিটার রাস্তা বেশ ভালোই আছে।

তারপরও রাস্তা নিয়মিত দেখভাল করা হচ্ছে। ছোট-ছোট গর্ত ভরাট করে সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। আর ঝালকাঠি (বরিশালের কালিজিরা ব্রিজ সংলগ্ন ঝালকাঠির অংশ থেকে) -ভাণ্ডারিয়া পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ নিয়মানুযায়ী চলমান রয়েছে।

তিনি দাবি করেন, রাজাপুর সদর থেকে বেকুটিয়া ফেরিঘাটের জেলা সড়কটিও গুরুত্ব নিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যে নয়, বরং কাজের পর বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ায় কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের যে মালামাল ও জনবল রয়েছে, বৃষ্টি না হলে অল্প সময়ের মধ্যে সড়কটি মেরামত করে দেয়া হবে। ঈদের আগে ঝালকাঠির কোনো সড়ক মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এমএস/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।