ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বৃষ্টি-কাদায় একাকার, শুকনায় ধুলায় অন্ধকার!

শফিকুল ইসলাম খোকন, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
বৃষ্টি-কাদায় একাকার, শুকনায় ধুলায় অন্ধকার! বৃষ্টি-কাদায় একাকার, শুকনায় ধুলায় অন্ধকার!

পাথরঘাটা (বরগুনা): উপকূলীয় উপজেলা বরগুনার পাথরঘাটার সঙ্গে যোগাযোগে নদী ও স্থলপথে মাধ্যম থাকলেও দূরত্ব ও সময়ের দিক বিবেচনায় সড়ক পথকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ। পণ্য পরিবহনেও এ অঞ্চলে সড়ক পথের গুরুত্ব অনেক। 

রাজধানী থেকে পাথরঘাটার সঙ্গে স্থলপথে যোগাযোগের অন্যতম হচ্ছে মঠবাড়িয়া পাথরঘাটা জেলা সড়ক। তার সঙ্গে রয়েছে পাথরঘাটা-কাকচিড়া হয়ে বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়ক।

এ দুই সড়কের পাথরঘাটা অংশের বিভিন্নস্থানে খানাখন্দের কারণে বর্তমানে যান চলাচলে যেমন বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি নাকাল হচ্ছেন চালক, যাত্রী ও পথচারীরা। এতে সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আর বৃষ্টিতে কাদায় একাকার এবং শুকনো মৌসুমে ধুলায় অন্ধকার হয়ে যাওয়া সড়কে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকছে।

সরেজমিন দেখা যায়, পাথরঘাটা-মঠবাড়িয়া সড়কের পাথরঘাটা অংশ এবং পাথরঘাটা নতুন বাজার ব্রিজ এলাকা থেকে কাকচিড়া-আমুয়া সড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়তই বিকল হচ্ছে যানবাহন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগছে দ্বিগুণ।  রাস্তায় খানাখন্দ। এসব সড়কে যাতায়াতকারী বেসরকারি চাকরিজীবী কামাল, শিক্ষক মাওলানা মো. নাজমুল আহসানসহ বেশ কয়েকজন বলেন, শুকনো মৌসুমে সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে ধুলার জন্য নাক ও মুখ চেপে ধরে চলাচল করতে হচ্ছে। আবার বৃষ্টির দিনে কাদায় চলাচল করাতো যায়ই না, বিভিন্ন খানাখন্দে গাড়ি আটকে পড়ে। কিছুদিন পরপর নামেমাত্র ইট ও বালি দিয়ে মহাসড়কের গর্ত মেরামত করা হলেও সামান্য বৃষ্টিতে সেগুলো উঠে গিয়ে পুরনো খানাখন্দ দৃশ্যমান হয়। মাঝে মধ্যে কাজ করলেও আবার একই অবস্থা দাঁড়ায়। ফলে বৃষ্টিতে রাস্তা হয় কাদার পুকুর, আর শুকনো মৌসুমে ধুলায় অন্ধকার।

পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন বলেন, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমরা বারবার তাগাদা দিচ্ছি; সড়কগুলো ফের মেরামত করতে ও ভালোভাবে কাজ করতে।  

এ বিষয়ে বরগুনা সওজ উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শামসুল শাহরিয়ার ভুইয়া জানান, মূলত সড়ক দু’টিই জেলা মহাসড়কের অংশ। দু’টি সড়কই ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুট প্রশস্ত করা হচ্ছে। পাথরঘাটা থেকে মঠবাড়িয়া সড়কের কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। আর পাথরঘাটা থেকে কাকচিরা হয়ে বামনা সড়কের প্রশস্তকরণের কাজও শুরু হয়ে যাবে অল্প সময়ের মধ্যে।
রাস্তায় খানাখন্দে ভরা।  ছবি: বাংলানিউজ
তিনি বলেন, পাথরঘাটায় রাস্তাঘাট ভালোই রয়েছে। তবে পাথরঘাটা-কাকচিরা অংশে একটি জায়গায় পানি জমে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে আমাদের লোক কাজ করছে। বৃষ্টিসহ পানি জমে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আর যেহেতু বর্তমান সময়ে বৃষ্টি হচ্ছে তাই ঈদের আগে রুটিন চেকে উভয় সড়কেই যেসব ত্রুটি ধরা পড়বে তা ঠিক করে দেওয়া হবে।  

ঘরমুখো মানুষের ঈদ যাত্রা ভোগান্তিবিহীন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত মালামাল ও জনবল রয়েছে আমাদের, ছোট-খাটো যেকোন সমস্যা তাৎক্ষণিক নিরসন করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৮
এমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।