ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রায়পুরে ২ পুলিশকে মারধর করলেন মেম্বারের ভাই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
রায়পুরে ২ পুলিশকে মারধর করলেন মেম্বারের ভাই

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জাহাঙ্গীর আলম লিটন আখন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছ।

শনিবার (২৬ মে) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের পশ্চিম চরলক্ষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ‘গায়ে মোটরসাইকেল লেগে যাওয়ায়’ লিটন ওই দু’জনকে মারধর করেন। খবর পেয়ে হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল ঘটনাস্থলে যান।

 

অভিযুক্ত লিটন উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) আলমগীর হোসেন ওরফে মো. আলী আখনের বড় ভাই।  

তার মারধরের শিকার দুই কর্মকর্তা হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফারুক হোসেন ও কনস্টেবল মো. হাবীব। তারা হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। দু’জনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, মোটরসাইকেলযোগে ওই দুই পুলিশ আখন বাজার এলাকায় এক বাড়িতে আদালতের নোটিশ নিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা পশ্চিম চরলক্ষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে সেসময় একটি অটোরিকশা সামনে আসে। তখন ওই রিকশাকে সাইড দিতে গেলে তাদের মোটরসাইকেল সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লিটনের গা ঘেঁষে যায়। এতে ক্ষেপে গিয়ে লিটন দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে অশালীন কথা বলেন।  

দুই পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল থামিয়ে কারণ জানতে চাইলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের সমানে মারপিট করতে থাকেন লিটন।

হাজীমারা ফাঁড়ি পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে লিটন ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।  

হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশের মোটরসাইকেল লিটনের গা ঘেঁষে গেছে। তবে তার শরীরে লাগেনি। এ নিয়ে তার সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার পর লিটন ও তার ইউপি সদস্য ভাই বাড়িতে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
এসআর/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।