শুক্রবার (২৫ মে) রাত ১০টার দিকে বাড়ির পশ্চিম পাশে বাঁশ ঝাড়ে কলা পাতায় মোড়ানো অবস্থায় লিজা (১১) নামে এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত লিজা মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের গাছাবাড়ী গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে।
মরদেহ উদ্ধারের পর রাতে তিনজন ও শনিবার (২৬ মে) সকালে আরও দু’জনসহ মোট পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়।
তারা হলেন- ঘটনাস্থলের পাশে বসবাস ও কর্মরত আব্দুল মান্নানের ছেলে আমজাদ হোসেন (৩০), ইদ্রিস আলীর ছেলে দেলোয়ার (৩২), মৃত আন্তাজ আলীর ছেলে আব্দুল মালেক, হাতেম দেওয়ানীর ছেলে আরশেদ আলী (৫৫) এবং লিজার চাচাতো ভাই রানা (২২)।
ইউপি সদস্য বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, লিজার শরীর কাপড়চোপড় ছেড়া অবস্থায় পাওয়া যায়। ধর্ষণের পর তাকে হত্য করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে পুলিশ খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ সুরতহাল করে মর্গে পাঠিয়ে দেয়। শনিবার টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লিজার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নিহত লিজার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলার স্বার্থে এলাকার কতিপয় ব্যক্তিকে জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে। খুব শিগগির এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হবে।
গাছাবাড়ী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম লাল মিয়া, আবু সাঈদ আরিফসহ শিক্ষকরা মেধাবী স্কুলছাত্রী লিজাকে নির্যাতনের পর হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
জিপি