ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দাম বেশি হলেও ইফতারে আগ্রহ মৌসুমী ফলে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
দাম বেশি হলেও ইফতারে আগ্রহ মৌসুমী ফলে মৌসুমী ফল। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আমের আকার দেখে পছন্দ হয় না, ছোট। অথচ দাম চড়া। তবু স্বস্তি এই যে, মুখে দিলেই মন ভরে যায় মিষ্টতায়। সে কথা মাথায় রেখেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে আমসহ আরও কয়েক প্রকারের ফল কিনলেন শারমীন শারীফ লাবণ্য।

কথা হলে বাংলানিউজকে বলেন, ইফতারের টেবিলে নিয়মিত উপকরণের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের ব্যবহার বাড়তি মাত্রা যোগ করে। গরমে সারাদিন রোজা রেখে ভাজাপোড়া খাবারের পরিবর্তে ফলটাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি আমার পরিবারের জন্য।

মৌসুমী ফল কিনছেন এক ক্রেতা।  ছবি: বাংলানিউজরোজাদারদের কাছে অন্যবারের তুলনায় এবারের রমজান মাস একটু ব্যতিক্রম। কেননা এবার ইফতারে ফলের তালিকায় এসেছে পরিবর্তন। বিদেশি আপেল-আঙুর-কমলার পরিবর্তে এবার ইফতারে থাকছে মৌসুমী ফল। তবে মৌসুমী ফলের পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি ফলের চাহিদাও।

এবার মৌসুমী ফলের ভরা মৌসুমে রোজা শুরু হয়েছে। তাই রোজাদারদের কাছে বিদেশি ফলের চেয়ে মৌসুমী ফলের কদর অনেকটাই বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, প্রত্যেক অলিগলি ও ফুটপাথে এখন মৌসুমী ফলের পসরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আম, কাঁঠাল, সফেদা, তরমুজ, বাঙ্গি, পেয়ারা, লিচু, পেঁপে, কলা, আনারস, জাম, মেওয়া, ডালিম, জাম্বুরা, কামরাঙা, আমলকী, পানিফল, গাব, বেল, তালশাঁসসহ আরও অনেক কিছু।
মৌসুমী ফল।  ছবি: বাংলানিউজরোজায় সুস্থ থাকতে মুখরোচক খাবারের ঝোঁক কমিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যবিদরা। গরমে রোজা পালনে ভাজাপোড়া বা তৈলাক্ত খারার পরিহার করে প্রচুর পরিমাণ পানি পান ও ফল দিয়ে ইফতার করারও পরামর্শও দিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে নর্দান মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসক প্রিয়াংকা রিয়া বলেন, দেশি ফলে সব ধরনের পুষ্টি গুণাগুণ বিদ্যমান থাকে। পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবারের উৎস হলো মৌসুমী এসব ফল। এ ফলগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অন্যতম উৎস। ফলের মধ্যে যেসব উপাদান পাওয়া যায় তা মানবদেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রান্না ছাড়া সরাসরি খাওয়া যায় বলে ফলের মধ্যে থাকা পুষ্টির সবটুকুই শরীর গ্রহণ করতে পারে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আম ৮০ থেকে ১৪০, বাঙ্গি ১৫০, পেয়ারা ১২০, কাঁঠাল ১৫০ থেকে ৩০০, জাম ৩৫০, মেওয়া ১০০০ টাকা প্রতি কেজি।

এছাড়া কলা ২০ থেকে ৪০ টাকা হালি, বন কাঁঠাল ৮০০ টাকা কেজি, পিচ ফল প্রতি ১০০ পিস ৫০০ টাকা, লিচু প্রতি ১০০ পিস ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কামরাঙা ১২০ টাকা কেজি।

অন্যদিকে পেঁপে এবং আনারস ৬০ থেকে ১২০ টাকা প্রতিটি। বেল ৪০ থেকে ৮০ এবং তরমুজ ১২০ টাকা। বিদেশি ফলের মধ্যে ড্রাগন ৫০০, মেগিস্টিক ৭০০, চেরি ২ হাজার ৪০০, নাশপাতি ১৮০, আপেল ১৫০ থেকে ১৮০, মালটা ১৪০ থেকে ১৬০, বেদানা ৩০০, সবুজ মালটা ৬০০, আঙুর ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি।

ফলের দাম সম্পর্কে রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় ফল কিনতে আসা ব্যবসায়ী রিয়াজ বিল্লাহ বলেন, রমজান হিসেবে ফলের দাম মোটামুটিভাবে বেশ নাগালের মধ্যেই রয়েছে। তবে মৌসুমী ফলের দামটা একটু চড়া। যদিও অন্য সময়ের তুলনায় প্রতিটি ফলেই দাম একটু বেশি রাখা হচ্ছে, তবে তা অন্যবারের তুলনায় সহনীয়।

একই এলাকার ফল ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল জানান, প্রতিবারের মতো এবারও ফলের বেচাকেনা বেশ ভালো। তবে এবারের রমজান মৌসুমী ফলের সময়ে হওয়ায় বিদেশি ফলের তুলনায় দেশি ফলের চাহিদায় বেশি। রোজা গরমে হওয়ায় ক্রেতারা জুস তৈরির জন্যই বেশি ফল নিচ্ছেন। আর ফলের দাম বাড়েনি বরং কোনও কোনও ফলের দাম কমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
এইচএমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।