তিনি নজরুলের বিখ্যাত কয়েকটি কবিতা যেমন আবৃত্তি করেন, তেমনই গেয়ে শোনালেন ‘ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ, তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানি তাকিদ। ’
সংগীত শিল্পীদের ‘মতো’ই স্বয়ং বিরোধীদলীয় নেতার কণ্ঠে এমন গান শোনে উপস্থিত অতিথিরা আনন্দে মেতে ওঠেন।
শনিবার (২৬ মে) দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত নজরুল একাডেমি মাঠের নজরুল মঞ্চে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে অংশ নিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের গান গেয়ে শোনান রওশন এরশাদ।
‘অনন্য সাধারণ লেখনীর মাধ্যমে কবি নজরুল আমাদের সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন’ উল্লেখ করে রওশন বলেন, পরাধীন বাঙালির মুক্তির বাণী নিয়ে ধূমকেতুর মতো তার আবির্ভাব ঘটেছিল।
এসময় নজরুলকে স্মরণ করে বিরোধী দলীয় নেতা তার কণ্ঠে ‘কে আছে জোয়ান, হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ’, ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী’, ‘ঘুমিয়ে গেছে শান্ত হয়ে আমার গানের বুলবুলি’, ‘কাঠবিড়ালি, কাঠবিড়ালি পেয়ারা তুমি খাও?’ ‘আমি যেদিন হারিয়ে যাবো, বুঝবে সেদিন বুঝবে’ কিংবা ‘মসজিদের পাশে আমার কবর দিও ভাই’সহ কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি করেন।
রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় কবিকে ১৯৭২ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন এভাবে নজরুল জয়ন্তী পালন হতো না। আমাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ প্রথম নজরুলের নামে গুলশানের একটি বাড়ি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। এরপর তার খরচের জন্য মাসিক টাকারও ব্যবস্থা করতেন। এছাড়া আমাদের সময়েই ১৯৯০ সালে প্রথম ত্রিশালে জাতীয় পর্যায়ে নজরুল জন্মজয়ন্তী পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
এমএএএম/টিএ