ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

লোহাগড়া-লাহুড়িয়া সড়কে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৪ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
লোহাগড়া-লাহুড়িয়া সড়কে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে লোহাগড়া-লাহুড়িয়া সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন

নড়াইল: দিনের পর দিন মেরামতের অভাবে বেহাল অবস্থা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া-লাহুড়িয়া সড়কের। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। কবে তাদের দুর্ভোগ শেষ হবে তা কেউ বলতে পারছে না।

এ সড়কের স্থানে স্থানে পিচ-খোয়া উঠে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে জমছে পানি।

এ সড়ক দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে গাড়ি। আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।  

লোহাগড়া-লাহুড়িয়া সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহনস্থানীয়রা জানান, লোহাগড়া থেকে লাহুড়িয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এ সড়কের দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য অটোরিকশা, বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এটি লোহাগড়া উপজেলার উত্তর এলাকায় যাতায়াতের প্রধান সড়ক। সড়কটি দিয়ে এ এলাকার লাহুড়িয়া, শালনগর, নোয়াগ্রাম, কাশিপুর ও জয়পুর ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষ প্রতিদিন উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন।  

এছাড়া এই সড়কটি ব্যবহার করে লোহাগড়া ও ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার এবং মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দারা। লোহাগড়া উপজেলার শেষ প্রান্ত লাহুড়িয়া বাজার। এ বাজার থেকে মাগুরায় সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। লাহুড়িয়া বাজার থেকে এ সড়ক দিয়ে লোহাগড়া হয়ে ঢাকায় যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। লাহুড়িয়া, মাকড়াইল, বাতাসি, মণ্ডলবাগ, শিয়রবর ও মানিকগঞ্জ এই এলাকার বড় বাজার। এসব বাজারে পণ্য পরিবহনে প্রতিনিয়ত মালবোঝাই ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল করে এই সড়ক দিয়েই।

লোহাগড়া-লাহুড়িয়া সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহনসরেজমিনে দেখা গেছে, এই ২০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। দুর্ভোগের শুরু লোহাগড়া বাজারের পরেই জয়পুর থেকে। জয়পুর মোড়ে সড়কটি উভয় পাশে পিচ ও খোয়া উঠে দেবে গেছে। এরপর নারানদিয়া-কেষ্টপুর পর্যন্ত বেহাল অবস্থা। শিয়েরবর বাজার থেকে কালিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত পুরো রাস্তার অবস্থা খুবই করুণ। মাকড়াইল বাজার থেকে কালিগঞ্জ বাজার এলাকার অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। এখানে বড় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে একাকার হয়ে যায়।  

ঝিনাইদহে চাকরি করেন লোহাগড়া সদরের ইসরাফিল। তিনি বলেন, এ সড়ক দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাতায়াত করি।

কাভার্ড ভ্যান চালক নজরুল বলেন, গত ১০ বছর যাবৎ এ এলাকার বাজারগুলোতে পণ্য দিতে আসি। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় ছোট-বড় গর্ত। খানাখন্দে চাকা পড়লে গাড়ি তোলা দুষ্কর হয়ে যায়। আবার উল্টো যাওয়ার উপক্রম হয়। এই অবস্থায় গাড়ি চালাতে খুব কষ্ট হয়।

শালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান তসরুল ইসলাম জানান, শালনগর ইউনিয়ন অংশে তার ব্যক্তিগত অর্থে বড় গর্তগুলো খোয়া দিয়ে ভরাট করেছেন। তিনি বিষয়টি উপর মহলে জানিয়েছেন।

এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী হরশিত কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ২০ কিলোমিটার সড়কের কিছু অংশে মেরামতের কাজ এখন করা হবে। বাকি অংশের কাজ করার জন্য ঢাকায় সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো (অর্থবছরে বরাদ্দ চাওয়া) হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শেষ করা হবে।  

তবে কত দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে সেটি বলতে পারেননি তিনি।

নড়াইল জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু ছায়েদ বলেন, সড়কের যেসব জায়গায় চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে বরাদ্দ এলে সড়কটির সেসব জায়গা মেরামত করা হবে। আশা করি বর্ষা মৌসুমের পরে কাজ শুরু করতে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
এমআরএম/আরআর

আরও পড়ুন...

** খুলনার ৪ জেলা সড়কের করুণ হাল

** চলাচলের অযোগ্য সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক

**বাগেরহাটে পিচঢালা রাস্তায় ইটের সলিং

**ঈদে ভোগান্তি কমছে না যশোর-বেনাপোল সড়কে

**লোহাগড়া-লাহুড়িয়া সড়কে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।