ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বাগেরহাটে পিচঢালা রাস্তায় ইটের সলিং

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
বাগেরহাটে পিচঢালা রাস্তায় ইটের সলিং পিচঢালা রাস্তায় ইটের সলিং দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে। ছবি: বাংলানিউজ

বাগেরহাট: খানাখন্দে ভরা, রাস্তার মাঝখানে বড় বড় গর্ত। কোথাও কোথাও পিচ ও পিচের নিচের ইট উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। একটু বৃষ্টিতে কাদায় ভরে যায় পিচ ঢালা রাস্তা। পিচ ঢালা রাস্তায় মেরামতে দেওয়া হয়েছে ইটের সলিং।

বাগেরহাটের হযরত খানজাহান (র.) মাজার মোড় থেকে চিতলমারী উপজেলা সদর হয়ে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী পর্যন্ত সড়কের এমনই বেহাল অবস্থা।

মাজার মোড় থেকে পাটগাতী পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার সড়কটি জেলার অন্যতম ব্যস্ত সড়ক।

চিতলমারী-মোল্লারহাট উপজেলার মানুষ জেলা শহরের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রক্ষা করে এ সড়কের মাধ্যমে।  পিচঢালা রাস্তায় ইটের সলিং দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে।                                          ছবি: বাংলানিউজচিতলমারী এলাকার কৃষকের উৎপাদিত ফসল দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করার একমাত্র সড়কপথ এটি। সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের মাজার মোড় থেকে শুরু এ সড়কের। এ মোড় থেকে একটু সামনেই রাস্তার মাঝখানে বেশ কিছুদূর ইটের সলিং রয়েছে। এমন ইটের সলিং ৩৯ কিলোমিটার রাস্তার অসংখ্য জায়গায় রয়েছে। রয়েছে বড় বড় খানাখন্দ, গর্ত।

নিয়মিত যাতায়াত করা নসিমন চালক সাইদুল মোল্লা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা চলাচল করি। যেকোন সময় রাস্তার গর্তে পড়ে আমাদের গাড়ি উল্টে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

চিতলমারী-বাগেরহাট রোডে চলা বাসচালক মো. ইউনুস আলী বলেন, চিতলমারী উপজেলার সঙ্গে সরাসরি বাস চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। জনগণের কথা চিন্তা করে মালিকরা ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে বাস চলাচল চালু রেখেছে। দ্রুত যদি সংস্কার না করা হয় তাহলে সড়কটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে।

কামরুল ইসলাম নামে এক পথচারী বলেন, হেঁটে যাওয়ার সময়ও আশঙ্কার মধ্যে থাকতে হয় কখন দুর্ঘটনা ঘটে। বৃষ্টির পরে রাস্তা দিয়ে কোনো গাড়ি গেলে আমাদের গায়ে কাদা ছিটে আসে।  পিচঢালা রাস্তায় ইটের সলিং দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে।  ছবি: বাংলানিউজচিতলমারীর কৃষক মহের উদ্দিন, বিনয় সাহা, চিংড়ি চাষি মনসুর আহমেদ, রোকন উদ্দিনসহ স্থানীয় কৃষকেরা জানান, চিতলমারী বাজারে প্রতি হাটে কয়েক কোটি টাকার সবজি ও মাছ বেচাকেনা করা হয়। ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাজসাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখানে সবজি ও মাছ কিনতে আসে। কিন্তু বাগেরহাট থেকে চিতলমারী হয়ে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত না হওয়ায় এবং রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে ট্রাক ও অন্য যানবাহন চলাচল করতে চায় না। এর ফলে এখানে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের পণ্য কম দামে কিনে পরিবহনের জন্য খরচ মেটাতে চায়। ফলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সড়ক বিভাগ, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহা. আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, একনেকে অনুমোদিত প্রায় ১শ’ ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাগেরহাট-চিতলমারী-পাটগাতী পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করার কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত দরপত্র আহ্বান, ঠিকাদার নির্বাচন ও ঠিকাদারকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। আসা করি আগামী মাসে কাজ শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
এমআরএম/আরআর

আরও পড়ুন...

আরও পড়ুন...

** খুলনার ৪ জেলা সড়কের করুণ হাল

** চলাচলের অযোগ্য সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়ক

**ঈদে ভোগান্তি কমছে না যশোর-বেনাপোল সড়কে

**লোহাগড়া-লাহুড়িয়া সড়কে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।