এতে সাতক্ষীরা সদর, আশাশুনি ও তালা উপজেলা এবং খুলনার পাইকগাছা ও কয়রার লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। যাতায়াতেও সময় লাগছে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ।
সরেজমিন দেখা যায়, আশাশুনি উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সংযোগ স্থাপনকারী সড়কটির দশা অত্যন্ত নাজুক। অধিকাংশ জায়গায় পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গাতেই প্রায় পুরো অংশের পিচ উঠে খোয়া বের হয়ে গেছে। আবার কোথাও কোথাও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। অল্প বৃষ্টি হলেই গর্তের মধ্যে পানি জমে পুরো সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বিশেষ করে, এ সড়কের আলিয়া মাদ্রাসা মোড়, রামচন্দনপুর মোড়, যতীন মালির মোড়, ধুলিহর সাহেব বাড়ির মোড়, ধুলিহর বাজার, চাঁদপুর, বুধহাটা বাজার ও নোয়াপাড়া খানাখন্দে ভরা। আবার কোথাও পিচের রাস্তার ওপর ইটের সলিং দেওয়া হয়েছে, খোয়া দিয়ে ভরার চেষ্টা করা হয়েছে গর্ত।
সাতক্ষীরা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র এই সড়কটি দিয়ে শুধু আশাশুনি উপজেলা নয়, সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন, তালা উপজেলা, খুলনার পাইকগাছা এবং কয়রা উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির আজ বেহাল দশা। বৃষ্টি হলেই এই সড়কের ধুলিহর বাজার ও বুধহাটা বাজারসহ অনেক জায়গা নর্দমায় পরিণত হয়।
সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের বাসচালক আব্দুল করিম বাংলানিউজকে জানান, খানাখন্দে ভরা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা দুষ্কর। তারপরও বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হয়। এতে মানুষের দুর্ভোগের সঙ্গে আমাদের বাসেরও ক্ষতি হয়। গর্তে পড়ে প্রায়ই বাস-ট্রাক বিকল হয়ে যায়।
ইজিবাইক চালক মঈনুদ্দিন জানান, রাস্তায় অনেক বড় বড় গর্ত রয়েছে। এছাড়া অনেক জায়গায় ছোটখাটো খানাখন্দের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। কিছু দিন আগে আমার ইজিবাইক গর্তে পড়ে উল্টে যায়, এতে এক যাত্রীর পা ভেঙে যায়। সব থেকে বেশি সমস্যা হয় আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ধুলিহর বাজার পর্যন্ত। ধুলিহর ও ব্রহ্মরাপুর বাজার সংলগ্ন রাস্তার পিচ ও খোয়া এমনভাবে উঠে গেছে যে এটি যে একসময় পাকা রাস্তা ছিল তা বোঝাই যায় না। বৃষ্টি হলে ছোট খালে পরিণত হয়।
আশাশুনির পল্লব হোসেন বাংলানিউজকে জানান, জেলা সদরে আসার একমাত্র রাস্তা এটি। কিন্তু রাস্তাটি এতো খারাপ যে প্রায়ই ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া সময়ও লাগে দ্বিগুণ। কিন্তু কেউ দেখার নেই। সামনে ঈদ, তখন কি হবে সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মঞ্জুরুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের জন্য প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটা পাশ হয়ে একনেকের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে। এছাড়া আমরা সাময়িক দুর্ভোগ দূর করতে সড়কের নষ্ট জায়গাগুলোতে ইট ফেলছি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৮
এমআরএম/এসআই
আরও পড়ুন...
** খুলনার ৪ জেলা সড়কের করুণ হাল
**বাগেরহাটে পিচঢালা রাস্তায় ইটের সলিং