ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আন্দোলনে নজরুলের লেখনী উজ্জীবিত করেছে: রাষ্ট্রপতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
আন্দোলনে নজরুলের লেখনী উজ্জীবিত করেছে: রাষ্ট্রপতি নজরুল জন্মবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

ময়মনসিংহ: ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, আমাদের জাতীয় সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নজরুলের লেখনী আমাদের উজ্জীবিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, কবি নজরুলের জাতীয়তাবোধ বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস। পরাধীন ব্রিটিশ আমলে সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে তিনি বাংলা ও বাঙালির জয়গান গেয়েছেন।

কাজী নজরুল সমাজ পরিবর্তনের যে অনির্বাণ শিখা জ্বালিয়েছেন তার আলোকচ্ছটা আমাদের সোনার বাংলা গড়তে অনুপ্রাণিত করবে।  

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমার বিশ্বাস নতুন প্রজন্ম নজরুল চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করবে এবং বৈষম্যহীন, সমতাভিত্তিক একটি অসম্প্রদায়িত সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে দেশপ্রেমের মহান ব্রতে উজ্জীবিত হয়ে জাতি গঠনে অর্থবহ অবদান রাখবে।

শুক্রবার (২৫ মে) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত নজরুল একাডেমি মাঠে জাতীয় পর্যায়ে তিনদিন ব্যাপী নজরুল জন্মবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।  

আব্দুল হামিদ বলেন, বাংলা সাহিত্য-সঙ্গীতের অন্যতম পথিকৃত যুগস্রষ্টা জাতীয় জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার কালজয়ী প্রতিভা ও জীবন দর্শন, মানবিক মূল্যবোধের স্ফূরণ, সমৃদ্ধশালী লেখনী বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ।

নজরুল শুধু বাংলার জাতীয় কবিই নন, তিনি জাগরণের কবি, সাম্যের কবি। তিনি শোষণ, বঞ্চনা, অত্যাচার, কুসংস্কার ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে তার লেখনীতে তুলে ধরেছেন, বলেন আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আসানসোলের রুক্ষ এলাকা থেকে আগত নজরুলের মনে সুজলা, সুফলা শস্য-শ্যামলা ত্রিশালের প্রকৃতি প্রবলভাবে রেখাপাত করেছিল। প্রকৃতি প্রেম এবং সৃষ্টিশীলতার এই পরিবেশে কবিকে দারুণভাবে উদ্বেলিত করেছিল। বাঁধনহারা কবি নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আবহে।  

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সৃষ্টিশীল এই মহান কবির প্রতি সম্মান জানাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি ও তার পরিবারের সদস্যদের ১৯৭২ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। কবিকে আবাসন ও চিকিৎসা সুবিধাসহ নাগরিকত্ব প্রদান করেন। ১৯৭৬ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কবি এখানেই ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।  

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম সিমিন হোসেন রিমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মসিউর রহমান।  

নজরুল স্মারক বক্তা ছিলেন বেগম আকতার কামাল। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক ড. সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।  

অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট ইউসুফ খান পাঠান, জেলা জাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও মহানগর জাসদ সভাপতি সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
এমএএএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।