শুক্রবার (২৫ মে) দুপুর ২টার দিকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জাকির হোসেন চরপলিশা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই শাহিন বাংলানিউজকে জানান, জাকির ঢাকার নারায়নগঞ্জে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার (২৪ মে) বিকেলে একই গ্রামের মোকাদ্দেস আলীর ছেলে মামুনুর রশিদ জাকিরকে ফোনে করে ডেকে নিয়ে যান। পরে জাকিরকে সঙ্গে নিয়ে মামুন তার শ্বশুরালয় নাংলা গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে পূর্ব বিরোধের জের ধরে মামুন জাকিরকে ক্ষুরদিয়ে আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর অাহত হন। এরপর স্থানীয় রবিন মাহমুদ নামে এক যুবক জাকিরকে উদ্ধার করে হাসপাতােলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত তাকে মৃত ঘোষাণা করে। জাকিরের মৃত্যু সংবাদ জানার পর রবিন পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে দেন। এরপর রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এসব কথা জানান।
এদিকে, এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে চরপলিশা বাজার এলাকায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা বিশ্বরোড অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিকেলে সোয়া ৪টা নাগাদ যানচলাচল শুরু হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবিন মাহমুদকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। জাকিরের মরদেহ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
এনটি