শুক্রবার (২৫ মে) সকালে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা সার্জিক্যাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তৈয়বুর উপজেলার পূর্ব নাকনা গ্রামের আব্দুল গণি পাড়ের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পূর্ব নাকনা গ্রামের আব্দুল গণি পাড়ের সঙ্গে তার ভাই আব্দুল খলিল পাড়ের ঘরের চাল উঠানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় খলিল এবং তার দুই ছেলে মহাসিন ও ইয়াসিন গণি পাড়কে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ে মারে। তাদের ছোড়া একটি ইট ঘরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গনি পাড়ের ছেলে তৈয়বুরের মাথায় লাগে। এতে তার মাথা ফেটে যায়।
বিকেলে তৈয়বুরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
পরে তাকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
শুক্রবার সকালে শিশুটিকে খুলনা সার্জিক্যাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় সে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহামান বাংলানিউজকে বলেন, দুই ভাইয়ের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ইটের আঘাতে একটি শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
আরএ