নাদিয়া উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পজর্দি মাঝি বাড়ির ইমাম উদ্দিনের বড় মেয়ে। সে বামনী আছিরিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার ১০ শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবারিক সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে প্রথমে নাদিয়ার মুখ থেকে রক্তক্ষরণ ও বমি হয়। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থা দেখে তার বাবা প্রথমে তাকে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ঢাকার ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়। কিন্তু তারপরও নাদিয়ার কোনো উন্নতি হয়নি। গত ৭ মাস ধরে একইভাবে ক্ষণে ক্ষণে তা রক্তক্ষরণ অব্যাহত রয়েছে।
কোন উপায় না পেয়ে মেয়েকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নাদিয়ার বাবা ক্ষুদ্র চা দোকানী ইমাম উদ্দিন। এছাড়াও সমাজের বিত্তশালী ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছেও সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
কান্নাজড়িত কন্ঠে নাদিয়ার বাবা ইমাম উদ্দিন ও মা হাসিনা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, যতটুকু সামর্থ্য ছিল তা দিয়ে মেয়ের চিকিৎসা করিয়েছি। ডাক্তার বলেছে এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। বর্তমানে অর্থাভাবে মেয়ের চিকিৎসা ঠিকমত করাতে পারছি না।
নাদিয়া বাংলানিউজকে জানায়, ‘আমি সুন্দর ভাবে বাঁচতে চাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
এনটি