বৃহস্পতিবার (২৪ মে) রাত ৮টার দিকে পল্লবীর সেকশন ১২, ব্লক-ধ এর ২ নম্বর রোডের ৩৮ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঝর্ণা পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার চড়হোসনাবাদ গ্রামের ধলু বয়াতীর মেয়ে।
ঝর্ণাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তার স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিকের কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঝর্ণার খালাতো ভাই খলিল বলেন, পল্লবীতে তারা বাসা ভাড়া করে থাকেন। ঝর্ণা পাশের রুমে তার মাকে নিয়ে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় ঝর্ণা। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎকস মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, ঝর্ণা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। কারখানার সহকর্মী রাসেদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের কথাবার্তার জন্য রাসেদসহ তার পরিবারের সদস্যদের ঝর্ণার বাসায় আসার কথা ছিল, কিন্তু আসেনি। পরে যতটুকু শুনেছি ছেলেটির পরিবার এ বিয়েতে রাজি নয়। এ কারণে ঝর্ণা আত্মহত্যা করতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ঢামেক ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৮
এজেডএস/এইচএমএস/এসআরএস