ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের চাপ সামলাতে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়ায় প্রস্তুত ৮৭ লঞ্চ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
ঈদের চাপ সামলাতে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়ায় প্রস্তুত ৮৭ লঞ্চ প্রস্তুত কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়ায় লঞ্চ

মাদারীপুর: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম করিডোর খ্যাত মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুট। প্রতি বছরই ঈদ মৌসুমে ঘরে ফেরা ও ফের কর্মস্থলের উদ্দেশে রাজধানীতে যেতে মানুষের ঢল নামে এ নৌরুটে। ঈদের আগে ও পরের দুই সপ্তাহে উপচে পড়া ভিড় সামলাতে নাভিশ্বাস ওঠে নৌযান শ্রমিকদের। 

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে নৌরুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলো। ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চগুলোকে সারিয়ে নৌরুটে নিয়ে আসা হয়েছে।

এছাড়াও আরো কিছু লঞ্চ ঈদের আগেই ডক ইয়ার্ডে নেওয়া হবে ঝালাইসহ মেরামতের জন্য। সবমিলিয়ে ঈদের ছুটি শুরু হবার আগেই ৮৭টি লঞ্চের সবগুলোকেই পরিপূর্ণভাবে চলাচলের উপযোগী করে নৌরুটে রাখা হবে। এছাড়াও ইতোমধ্যে অধিকাংশ লঞ্চই প্রস্তুত রয়েছে ঈদে যাত্রীর চাপ মোকাবিলায়।

কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানিয়েছে, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঈদে যাত্রীর চাপ অত্যাধিক বেড়ে যায়। ঘরে ফেরা মানুষের একটা বড় অংশই পদ্মা নদী পার হয় লঞ্চে করে। ফলে এ সময়টায় নৌপথে ভীড় থাকে প্রচণ্ড। লঞ্চগুলোর ব্যস্ততার কমতি থাকে না। যাত্রীদের নির্বিঘ্নে পারাপার করতে প্রতিবছরই ঈদ মৌসুমে লঞ্চগুলোকে ত্রুটিমুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়। সারাবছর চলাচলের পর ঈদের আগেই প্রত্যেকটি লঞ্চকে সার্ভে করা হয়। ঝালাই-মেরামতসহ, ইঞ্জিন, সিট, ডেক ঠিকঠাক ও রঙ করা হয়ে থাকে।  যাতে এ সময়ে কোনো লঞ্চের সমস্যা না হয়।  

বর্তমানে এ নৌরুটে চলাচল করছে ৮৭টি লঞ্চ। ৭০, ১২০ ও ২শ’ যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন লঞ্চও রয়েছে এ নৌরুটে।

এ নৌরুটে চলাচলকারী এমভি এনায়েতপুরী লঞ্চের মাস্টার মো. জাহিদুল হাওলাদার বলেন, ‘ঈদের আগে সব লঞ্চেরই টুকটাক কাজ করা হয়ে থাকে। বেশির ভাগ লঞ্চেরই মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে। আমাদের লঞ্চ আগামী সপ্তাহে ডক ইয়ার্ডে নেওয়া হবে। সামান্য মেরামত করার জন্য।
প্রস্তুত কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়ায় লঞ্চ
অপর এক লঞ্চ শ্রমিক বলেন, ‘পিনাক-৬ ডুবির পর থেকে লঞ্চ চলাচলে কঠোর নিয়ম মানা হচ্ছে। প্রতিটি লঞ্চেই এখন জীবন রক্ষাকারী বয়া রয়েছে। এছাড়া কোনো ত্রুটি দেখা দিলে সেই লঞ্চের চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

আব্দুল বারেক নামের এক লঞ্চ শ্রমিক বলেন, ‘এখন আকাশে মেঘ করে একটু বাতাস ছাড়লেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আবহাওয়া স্বাভাবিক না হলে লঞ্চ চলে না। তাছাড়াও ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নেওয়াও হয় না । সবসময় কর্মকর্তারা দেখাশোনা করে। আর যাত্রীরাও আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়ে গেছে। ভিড় দেখলে আর সেই লঞ্চে উঠে না।

বিআইডব্লিউটিএ’র কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. আক্তার হোসেন বলেন, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি লঞ্চের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী বহনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাছাড়া ঈদের সময় যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। তখন কয়েকজন যাত্রী বেশি নেওয়া হলে তা চলাচলের জন্য হুমকি স্বরূপ নয়।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান আহমেদ বলেন, ঈদে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ঘরমুখো মানুষের যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহনসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম নজর রাখবে। যাতে নির্বিঘ্নে যাত্রীরা পারাপার হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।