বৃহস্পতিবার (২৪ মে) রাসেলকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই আসাদুজ্জামান।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের কাছে আসামি রাসেল জবানবন্দি প্রদান করেন।
গত ২১ মে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) সেনানিবাস এলাকার একটি এটিএম বুথ থেকে তাহিদুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ২২ মে দিনগত রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে রাসেল শেখকে গ্রেফতার করে র্যাব-১। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন রাসেল।
বুধবার (২৩ মে) দুপুরে কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনজুর মেহেদী ইসলাম জানান, গত বছরের জুলাইতে বাগেরহাটের একটি নৌকাবাইচ অনুষ্ঠান দেখতে যান ভিকটিম তাহিদুল এবং আসামি রাসেল। এ সময় অসাবধানতাবশত রাসেলের সাইকেল তাহিদুলের গায়ে লেগে যায় এবং তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
এ ঘটনার জেরে নৌকাবাইচ থেকে ফেরার পথে রাসেলকে মারধর করেন তাহিদুল। তাহিদুল গত ১ মে থেকে ‘গ্লোব সিকিউরিটি সার্ভিস’ নামে একটি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের অধীনে ইবিএল বুথে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ শুরু করেন। গত এপ্রিল থেকে রাসেলও গ্লোব সিকিউরিটি সার্ভিসে চাকরিরত ছিলেন। পরে গত ৯ মে আইকন ফর সিকিউরিটি সার্ভিসে রিক্রুটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন।
মেজর মনজুর বলেন, ২০ মে রাতে তাহিদুল ওই বুথে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। রাসেল ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় লোক নিয়োগের পোস্টারিং করতেন। তারপর রাতে ইবিএল’র ওই বুথে গিয়ে তাহিদুলকে দেখে রাসেল ক্ষিপ্ত হন। ভিকটিম তাহিদুলকে গতবছরের কথা মনে করিয়ে দিলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।
এরপর তাদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে রাসেল ছুরি দিয়ে তাহিদুলের গলায় জখম করেন। তাহিদুলের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এটিএম বুথের লাইট বন্ধ করে ছুরিটি পার্শ্ববর্তী ড্রেনে ফেলে দেন এবং খুলনায় পালিয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
এমআই/এমজেএফ