বৃহস্পতিবার (২৪ মে) সচিবালয়ে জাতীয় কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা নির্বাহী কমিটির ৩৪তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন ভূমিমন্ত্রী।
সভায় ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ভূমিসচিব আব্দুল জলিল, বিভাগীয় কমিশনারসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, কৃষি খাসজমিতে চাষাবাদের মৌসুমে ভূমি দস্যুরা কৌশলে ডিসিআর খাজনা কেটে কৃষক ঘরে ফসল তোলার আগেই জমিতে হানা দিয়ে কৃষকদেরকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালায়। এতে কৃষকরা আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, খাসজমির ডিসিআর কাটার আগেই ভূমি অফিস থেকে সরেজমিনে জমির বর্তমান অবস্থা জেনে বন্দোবস্ত বা ডিসিআর দিতে হবে। এক্ষেত্রে যদি ওই জমি কোনো ভূমিহীন কৃষক চাষাবাদ করে থাকেন তবে ডিসিআর ওই ভূমিহীনকেই দিতে হবে।
সভায় কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোবস্ত নীতিমালা ১৯৯৭ অনুসারে ৯৯ বছর মেয়াদি বন্দোবস্ত গ্রহীতা বা তার বৈধ ওয়ারিশরা অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি কৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় সংযোজনের সিদ্ধান্ত হয়।
১৯৯৭ সালের পূর্বে যে সব বন্দোবস্তকৃত কৃষি খাসজমি নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর হস্তান্তরযোগ্য ছিল সে সব কৃষি জমির বন্দোবস্তগ্রহীতা অথবা বৈধ হস্তান্তরের ভিত্তিতে সর্বশেষ মালিকরা যথারীতি ক্ষতিপূরণ পাবেন মর্মে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়েছে।
সভায় বরিশাল-পটুয়াখালী এবং শেরপুর-জামালপুরের সীমানা বিরোধসহ অন্যান্য জেলার সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে পক্ষগণের সাথে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির কাযক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়।
পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন প্রস্তাব করেন ভোলার সাথে অন্যান্য জেলার ভূমি বিরোধ আরএস রেকর্ড অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রস্তাবিত এ বিষয়টি নিয়ে সভার সকলে একমত পোষণ করেন।
সভায় আরও জানানো হয় যে, রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্য ভাষানচরের জমির জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
এমআইএইচ/এমজেএফ