ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাদকবিরোধী অভিযান চলবে: কাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
মাদকবিরোধী অভিযান চলবে: কাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: চলমান মাদক নির্মূল অভিযানে সমর্থন জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ মে) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ রয়েছে, মাদকের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, তারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেনো, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দেশে মাদক নিয়ন্ত্রণে বিরোধী দলের কোনও ভূমিকা না থাকার অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা শুধু রাজনৈতিক দলগুলোকে গালি-গালাজ করতে পারে। মাদক সন্ত্রাস নিয়ে তারা আগেও কোনও কথা বলেনি, এখনও বলছে না। তারা যদি এ বিষয়ে এগিয়ে আসতো, কথা বলতো, তাহলে বর্তমানে দেশে এমন অবস্থার সৃষ্টি হতো না।

মাদক নির্মূল অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, মাদক বিক্রেতারা একা নন, তাদের সিন্ডিকেট আছে। তারা অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও জড়িত। তাই পুলিশ অভিযান চালালে অস্ত্রধারীরা হামলা চালায়। তখন আত্মরক্ষার্থেই পুলিশকে বাধ্য হয়ে পাল্টা গুলি ছুড়তে হয়। তারা তো আর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না।

কানাডার ফেডারেল কোর্টে বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী’ দল হিসেবে রায় দেওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ব্যাপারে নতুন করে তো আর কিছু বলার নেই। আগে তারা দেশে ‘সন্ত্রাস’ ও ‘দুর্নীতিবাজ’ দল হিসেবে পরিচিত ছিল, এখন বিদেশেও। এ ব্যাপারে আর কোনও যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন নেই। কেননা ফেডারেল কোর্ট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেন।

মন্ত্রী বলেন, মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই বাংলাদেশে এসে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ খুঁজেছে। সিঙ্গাপুর কথা বলেছে আরাফাত রহমান কোকোকে নিয়ে। এ থেকেই বোঝা যায় তারা কেমন।

বিআরটিএ’র অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে তিনজন বসার নিয়ম না থাকলেও অনেকেই বসছেন। আবার তারা হেলমেটও ব্যবহার করছেন না। তবে সাধারণ জনগণের থেকে এ অভ্যাসটা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকাদের মধ্যে বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই বিআরটিএ’র অভিযান চলছে। নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের অবশ্যই শাস্তি হবে।

১ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত বিআরটিএ’র অভিযানে মোট ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৯৭টি মামলা হয়েছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী।

ব্রিফিংয়ের আগে মন্ত্রী মানিক মিয়া সড়কের বিভিন্ন মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও বাসচালক এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
এইচএমএস/এইচএ/টিএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।