ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কুড়িগ্রামে বাড়ছে গলদা চিংড়ির চাষ

ফজলে ইলাহী স্বপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
কুড়িগ্রামে বাড়ছে গলদা চিংড়ির চাষ  মৎস্যচাষিদের মধ্যে গলদা চিংড়ির রেণু বিতরণ করা হচ্ছে। ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে শুরু হয়েছে সাদা সোনা খ্যাত মিঠাপানির গলদা চিংড়ির রেণু পোনা উৎপাদন।

মিঠাপানির গলদা চিংড়ি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে সামনে রেখে মৎস্যচাষিদের স্বাবলম্বী করতে জেলা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে উৎপাদিত রেণু পোনা বিতরণ শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৩ মে) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে উৎপাদিত ৭০ হাজার মিঠাপানির গলদা চিংড়ির রেণু পোনা কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

রেণু বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা মৎস্য উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপক মুসা কালিমুল্লা, গাইবান্ধা মৎস্য খামার ব্যবস্থাপক গোলজার হোসেন প্রমুখ। গলদা চিংড়ির রেণু।                                          ছবি: বাংলানিউজসংশ্লিষ্ট সূত্রে দেয়া তথ্য মতে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে লোনা পানির মা চিংড়ি ও লোনা পানি এনে মিঠা পানিতে সহনীয় করে ডিম থেকে রেণু পোনা তৈরি করে ৩২ দিন পর থেকে কৃষকের মধ্যে বিতরণের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। চলতি বছর পর্যায়ক্রমে পৌনে ৪ লাখ রেণু ও পোনা মৎস্যচাষিদের মধ্যে বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার মৎস্যচাষি মো. আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে গলদা চিংড়ির চাহিদা অনেক বেশি ও বাজার মূল্য ভালো পাওয়া যায়। আমরা মিঠাপানিতে এ মাছ চাষ করতে পারলে কম সময়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারবো।

কুড়িগ্রাম সদরের পূর্ব কল্যাণ এলাকার মৎস্যচাষি খন্দকার ওসমান গণি বাংলানিউজকে বলেন, গতবছরও ৩৫ দিনের প্রতিটি গলদা চিংড়ি রেণু এক টাকা হিসেবে জেলা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার থেকে ক্রয় করে পুকুরে অবমুক্ত করি। চার/পাঁচ মাস পর ছয় থেকে ১০টি চিংড়ি এক কেজি হয়। তা বাজারে পাইকারি ৬০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। এবারও রেণু ক্রয় করছি পুকুরে অবমুক্ত করার জন্য।

কুড়িগ্রাম মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপক মুসা কালিমুল্লা বাংলানিউজকে বলেন, সামুদ্রিক লোনা পানির গলদা চিংড়ি খামারের মিঠাপানিতে স্থানীয়ভাবে চাষের উপযোগী করে চাষিদের মধ্যে বিতরণ করে আমরা সফলতা পেয়েছি। গতবছরও গলদা চিংড়ি চাষ করে মৎস্যচাষিরা লাভবান হওয়ায় এবারে চাহিদাও বেড়েছে। বদ্ধ ও মুক্ত উভয় জলাশয়ে কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গেও এ গলদা চিংড়ি চাষ করে মৎস্যচাষিরা লাভবান হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে চলতি বছর প্রথম দফায় ৭০ হাজার পোনা চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৮ সালে গলদা চিংড়ির রেণু পোনা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা পৌনে ৪ লাখ ধরা হলেও ইতোমধ্যে ৫ লক্ষাধিক পোনা উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। মৎস্যচাষিরা গলদা চিংড়ি চাষে যেভাবে আগ্রহী হচ্ছে, তাতে আরও অধিক পোনা উৎপাদন করে পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
এফইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।