বুধবার (২৩ মে) দিনগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ মে) ভোর পর্যন্ত এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
ফেনীর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে জেলার ফুলগাজী উপজেলার সীমান্তবর্তী জাম্বুড়া এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন।
নিহত দু’জন হলেন-সামিরান শামীম উপজেলার আনন্দপুর মাইজ গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে ও মনতলা গ্রামের মৃত ফটিক মিয়ার ছেলে মজনু মিয়া ওরফে মনির।
ফুলগাজী থানার পরিদর্শক (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, নিহত মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে থানায় ১০টিরও বেশি করে মামলা রয়েছে।
মাগুরা ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট জানান, জেলায় মাদক বিক্রেতাদের দু’টি গ্রুপের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দু’জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে সদর থানার পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত দু’জন হলেন- মাগুরা পৌর এলাকার নিজনান্দুয়ালী গ্রামের আইয়ুব হোসেন (৫০) ভায়না টিটিডিসিপাড়ার মিজানুর রহমান কালু (৪৩)।
মাগুরা সদর থানাসহ বিভিন্ন থানায় নিহত আইয়ুবের নামে ১৮টি এবং কালুর নামে ২১টি মাদকের মামলা রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট জানান, বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে জেলার আখাউড়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ মাদক বিক্রেতা ও হত্যা মামলার আসামি আমির খাঁ নিহত হয়েছেন।
তিনি উপজেলার চানপুর এলাকার মৃত সুরুজ খাঁর ছেলে।
বন্দুকযুদ্ধে আখাউড়া থানা পুলিশের এএসআই ও ২ জন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১টি পাইপগান, ১টি কাতুর্জ, ১টি রামদা, ১০ কেজি গাঁজাসহ ৮টি স্কফ সিরাপ উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার বাংলানিউজকে জানান, নিহত আমিরের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২টি ও ১টি হত্যা মামলাসহ ১২টি মামলা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট জানান, জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১৫ মামলার আসামি মাদক বিক্রেতা সেলিম ওরফে ফেন্সি সেলিম নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ছয়জন।
বৃহস্পতিবার ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ নিমাইকাসারী ক্যানেলপাড় বজলুখানের খালি জায়গায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৫টি মাদক মামলা রয়েছে।
কুমিল্লা স্টাফ করেসপন্ডেন্ট জানান, বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রাজীব (৩০) নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন।
তিনি সদর দক্ষিণ উপজেলার চাঙ্গিনী এলাকার শাহ আলম মিয়ার ছেলে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটা এলজি, ৪০ কেজি গাঁজা ও ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
রাত ১টার দিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাবুল মিয়া ওরফে লম্বা বাবুল (৩৮) নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হন। তিনি উপজেলার পৌর এলাকার মৃত হাফেজ আহমেদের ছেলে।
ঘটনাস্থল থেকে ২শ’ বোতল ফেনসিডিল ও একটি এলজি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল জানান, বাবুলর বিরুদ্ধে থানায় পাঁচটি মাদক মামলাসহ ছয়টি মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
আরএ