বুধবার (২৩ মে) দিনগত রাত ১টার দিকে উপজেলার কেশরগঞ্জ বাজারে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তুষারের ভাইয়ের গুদাম ঘরের মেঝে খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মেহেদী হাসান এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার পলাশিহাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ৬ মার্চ শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বাবু রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। এরপর আমাদের কাছে তথ্য আসে, তুষার ও আলামিন পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে তুষারের বড় ভাইয়ের গদি ঘরের পেছনের ঘরে পুঁতে রেখেছে।
অথচ হত্যাকাণ্ডের পর তুষার পুলিশকে ব্যাপকভাবে মিস গাইড করে। এ সময় সে নিজেকে আড়াল করতে কিছু কৌশলও গ্রহণ করে। এর মধ্যে মেহেদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে অন্য একটি সিম ঢুকিয়ে ভয়েস নকল করে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির নাটক সাজায়।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মিস গাইড করে ঢাকা, মিরপুর ও যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত নিয়ে যায়। সবশেষ আমাদের ক্লু আসে তুষারই হত্যাকারী। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে এ কথা স্বীকার করে এবং আলামিন নামে আরেকজন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য দেয়।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে আলামিনকে গ্রেফতারের পর সেও স্বীকার করে। পরে তাদের দেখানো জায়গার মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময় ০৪৫২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
এমএএএম/এমইউএম/আরএ