ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের অবস্থান ইতিবাচক

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের অবস্থান ইতিবাচক

ঢাকা: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের অবস্থানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে বাড়ি-ঘর নির্মাণে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছিলো। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে দেশটি সেখানে বাড়ি-ঘরসহ অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার বিকেলে (২৩ মে) মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন কলকাতা সফর সামনে রেখে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ভারতের ভূমিকা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন,  রোহিঙ্গারা এখান থেকে ফিরে গিয়ে কোথায় থাকবে? সেখানে তো তাদের থাকার জন্য ঘর-বাড়ির প্রয়োজন। তাই আমরা ভারতকে সেখানে প্রিফ্যাব্রিকেট ঘর-বাড়ি নির্মাণের অনুরোধ করেছিলাম। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে রাখাইনে তারা ঘর-বাড়িসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ভারত রাখাইনে কমিউনিটি ক্লিনিক, প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাস্তাঘাটও নির্মাণ করবে। এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের অবস্থান  ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  
মাহমুদ আলী জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব ড. জয়শঙ্কর মিয়ানমার সফরে গিয়েছিলেন। সে সময় রাখাইনের অবকাঠামো উন্নয়নে ভারত-মিয়ানমার চুক্তি সই করে।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাখাইনে অবকাঠামো নির্মাণে ভারত ছাড়াও চীন, জাপান সহায়তা করবে। আর রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া বলেছে, তারা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে, ঠিক রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।

ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখতে পান না। তিনি এটা বলেছেনও। আবার বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার আগে বলেছিলেন, পদ্মাসেতু ঝুঁকিপূর্ণ। এই সেতুতে চড়লে নাকি বিপদ হতে পারে। বিএনপি এসব কথা বলে। তারা কোনো কিছুতেই উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখেন না।   

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মে (শুক্রবার) সকালে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। পরদিন ২৬ মে (শনিবার) সন্ধ্যায় ঢাকা ফিরবেন। শেখ হাসিনার সফর সামনে রেখে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
টিআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad