আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, চলতি সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতেও থাকছে বৃষ্টি। আর রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়া মানেই হাঁটুপানি বা কোমর পানিতে হাবুডুবু খাওয়া।
বুধবার (২৩ মে) সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে মাত্র ৫২ মিলিমিটার।
আর এই বৃষ্টিতেই রাজধানীর ব্যস্ততম বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে পানির নিচে। নগরীর মানুষগুলো বরাবরের মতো অসহায়ের মতো মুখ বুঝে চলেছে নিজ গন্তব্যে।
সরকারি সেবা সংস্থা ঢাকা ওয়াসা, সিটি করপোরেশনের কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছিলেন গত বছরের মতো এবার আর ঢাকায় জলাবদ্ধতা হবে না।
এমনকি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন গত বর্ষায় কথা দিয়েছিলেন ‘আগামী বর্ষায় ঢাকায় জলাবদ্ধতা হবে না। ’ তার সেই কথার কতটুকু বাস্তবতার সঙ্গে মিল রয়েছে তা বুধবার রাস্তায় বের হলেই বোঝা যাবে।
কাকলী, চেয়ারম্যানবাড়ি, বনানী এলাকার সড়কের উভয় পাশেই হাঁটুপানি থেকে কোমর পানি জমে যায় সামান্য বৃষ্টিতে। এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশন বা ওয়াসার কোনো লোককে মাঠে দেখা যায়নি জলাবদ্ধতা নিরসনে।
বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি থেকে বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে অর্ধেক রাস্তায় গাড়ি চলতে দেখা গেছে। বাকি অর্ধেকের কোথাও পানিতে অকেজো হয়ে পড়েছে গাড়ি বা কোথায় অধিক পানির কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। ফলে এই সড়কে যানজট তীব্রতর হয়েছে।
একই অবস্থা রাজধানীর মিরপুর এলাকায়। বুধবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, কালশি, মিরপুর-১২ এলাকা পানিতে থৈ থৈ করছে। পানি অপসারণে নেই কোনো তৎপরতা। এটা মিরপুরবাসীর প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট এলাকাতেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। একে তো রমজান মাস, তার উপর আবার সড়কজুড়ে জলাবদ্ধতা নগরবাসীর জন্য ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’।
এদিকে বৃষ্টির কারণে রাস্তায় গণপরিবহনের সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রায়সাহেব বাজার, গুলিস্তান, পল্টন এলাকায় মানুষকে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। তবে এই এলাকায় যানজট খুব বেশি দেখা যায়নি।
আবহাওয়াবিদ রোকেয়া আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। এই বৃষ্টি কালও থাকবে। তারপর থেকে আবার স্বাভাবিক হবে। তবে ভারী বর্ষণের কোনো সম্ভাবনা নেই। ব
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এসএম/এএ