নুর মোহাম্মদ বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বড়ইতলী মনজয় পাড়ার বেলাল আহমদের ছেলে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুর মোহাম্মদ অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।
জানা গেছে, ২১ মে বড়ইতলী মনজয় পাড়ার রাজেন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে সূপায়েন বড়ুয়ার পাহাড়ি জমির লেবু বাগানে নালা খননের কাজে যান এক নারীসহ ছয় শ্রমিক। এসময় সেখানে পাহাড় ধসে ছয়জনই মাটিচাপা পড়েন। পরে মাটি সরিয়ে তাদের উদ্ধার করলে নারীসহ তিনজন মারা যান। আর বাকি আহত তিনজনের মধ্যে নুর মোহাম্মদকে উদ্ধার করার সময় তার মাথায় কোদালের আঘাত লেগে যায়। এতে তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
নুর মোহাম্মদের বাবা বেলাল আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, সেদিনের পাহাড় ধসে আমার মেয়ের দুই দেবর নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া আমার দুই ছেলে আহত হয়। এর মধ্যে বড় ছেলে নুর মোহাম্মদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ৫ম তলার সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধারের পর জমি মালিক সূপায়েন আমাকে দুই হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এরপর আর কারও কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা আমি পাইনি।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নুর মোহাম্মদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দ্রুত কয়েকটি পরীক্ষা করা দরকার। পাশাপাশি কিছু দামি ইনজেকশনও দিতে হবে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো তাকে চিকিৎসা দিচ্ছি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরওয়ার কামাল বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি পাহাড় কাটার নির্দেশদাতার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদফতরকে মামলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর নুর মোহাম্মদ যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাও জেনেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
টিটি/টিএ