অথচ খাদ্যের মান রক্ষায় নগরজুড়ে চলছে জেলা প্রশাসনের সাঁড়াশি অভিযান। অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ইফতার তৈরির জন্য বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় জরিমানা হয়।
ভেজাল পণ্য বিক্রির দায়ে জরিমানা হলেও প্রকাশ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার বিক্রির দায়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এখনও।
নগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, অধিক বিক্রির জন্য রেস্তোরাঁ মালিকরা রাস্তার পাশে সামিয়ানা ছাড়া খোলা পরিবেশে ইফতার বিক্রি করছেন। এতে রাস্তার ধুলাবালু ও ময়লা খাবারে পড়ে নষ্ট হচ্ছে খাবার।
বিশেষ করে রোজা এলেই ইফতার বিক্রির মৌসুমী ব্যবসায়ীর আবির্ভাব ঘটে। যারা রাস্তার পাশে ফুটপাতজুড়ে বসেন ইফতার সামগ্রী নিয়ে। আর ইফতারকে আকর্ষণ বাড়াতে আলুর চপ, বেগুনী, পিঁয়াজুতে ব্যবহার করা হচ্ছে রঙ।
সরেজমিন দেখা যায়, নগরের জিন্দাবাজার সড়কের পাশে টেবিলে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। চানা ভুনা, আখনি (তেহেরি), খিচুড়ি, জিলাপি, পিঁয়াজু, বেগুনি ও সালাদ। এমনকি খেজুর ও জামও বিক্রি হচ্ছে সড়কের পাশে। এসব ইফতার কতুটুকু স্বাস্থ্যকর সেদিকে কারো নজর নেই।
রমজানে এসব ইফতার সামগ্রী কিনে খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়েছেন বলে জানান জিন্দাবাজারের ব্যবসায়ী শামীম আহমদ। জানালেন, খোলা বাজারের ইফতারি খেয়ে বমি ও ডায়য়িয়া ভূগেছেন তিনি।
শামীমের ভাষ্য, রাস্তার পাশে খোলা বাজারের খাবার একদিনে বিক্রি হয় না। ফলে পরেরদিন একই খাবার তেলে গরম করে বিক্রির জন্য তোলা হয়। এমন খাবার খেলে অবশ্যই অসুখ হবে।
এ বিষয়ে সিলেটের সিভিল সার্জন হিমাংশু লাল রায় বাংলানিউজকে বলেন, সিলেটের বাজারে ফুড সেফটি নেই। রোজায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে ইফতার। খোলা বাজারের এসব খাবার খেলে মানুষ অসুস্থ তো হবেই। সেই সঙ্গে রঙ মেশানো ও বাসি ইফতার খেলে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবে লিভারের কার্যকরতা দুর্বল হবে।
এ জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
ডা. হিমাংশু লাল বলেন, তিনটার আগে ইফতার সামগ্রী বিক্রি প্রদর্শন ও খোলাবাজারে ইফতার বিক্রি জেলা প্রশাসন থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তথ্য অধিদফতর প্রচারণা চালিয়েছে। তারপরও ঠেকানো যাচ্ছে না।
সিলেটের কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোর্শেদ কাদের বাংলানিউজকে বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়ায় খাদ্য বিক্রি করতে বলা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে জেল জরিমানাও হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এনইউ/এমএ