বুধবার (২৩ মে) সকালে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক নাতালিয়া কানেম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার যতদিন তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে না নেয়, ততদিন ভাসানচরে তাদের জন্য অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে’।
অল্পদিনের মধ্যে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তরের কথাও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বলে জানান তার প্রেস সচিব।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থানের জন্যও কানেম প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বলে জানান ইহসানুল করিম।
তিনি বলেন, ইউএনএফপিএ’র সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অগ্রগতি, প্রসূতি মায়ের চিকিৎসাসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা চার লাখের মত রোহিঙ্গা গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। আর গত বছরের ২৫ অাগস্ট রাখাইনে নতুন করে দমনাভিযান শুরু হলে সোয়া ছয় লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে চলে আসে। জাতিসংঘ সবশেষ দমন-পীড়নকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বলে আখ্যা দেয়।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এই দমন-পীড়ন থামিয়ে মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্মতিপত্রে সই করলেও এ সংক্রান্ত কার্যক্রমে ‘গতি’ দেখছে না বিশ্ব সম্প্রদায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এমইউএম/এইচএ/