ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীর মন জয় করেছে ‘দিল্লির তাওয়া পরোটা’

শরীফ সুমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
রাজশাহীর মন জয় করেছে ‘দিল্লির তাওয়া পরোটা’ দোকানে এভাবেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে ‘দিল্লির তাওয়া পরোটা’

রাজশাহী: বিকেলে চায়ের আসরে ধোঁয়া তোলা এক কাপ চায়ের সঙ্গে গরম গরম তাওয়া পরোটা আর শসা কুচি। আহ, রসনা বিলাসিদের কাছে কতই না যেনো অমৃত। পাওয়া যায় পাশের দেশ ভারতের প্রাণকেন্দ্র দিল্লিতে। তবে তাওয়া পরোটা খেতে আর সুদূর দিল্লি যেতে হবে না। মনভোলানো স্বাদের এই খাবারটি এখন পাওয়া যাচ্ছে রাজশাহীতেই।

চটপটে মসলায় মাখা মাংসের সেদ্ধ কিমা দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি হয় ‘তাওয়া পরোটা’। এরইমধ্যে মুখরোচক এই খবারটি ইফতারের প্রধান আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজশাহীর ভোজনরসিকদের কাছে।

ইফতারের প্লেটে নিত্যনতুন খাবার পছন্দ করেন এমন রোজাদারদের কথা মাথায় রেখে খাবারটি তৈরি করছে অভিজাত রেস্তোরাঁ ‘চিলিস’।  
 
মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে অবস্থিত চিলিস বাংলা রেস্তোরাঁয় ইফতারের পসরায় আরও অনেক খাদ্যপণ্য রয়েছে। কিন্তু দিল্লির ঐতিহ্যবাহী সু-স্বাদু ‘তাওয়া পরোটা’ মন মাজাচ্ছে ভোজনরসিকদের। তাওয়া পরোটার সঙ্গে থাকছে হট ব্রিফ গ্রিল। প্রতিপিস তাওয়া পরোটার মূল্য রাখা হচ্ছে ৫০ টাকা। আর হট ব্রিফ গ্রিলসহ ফুল প্যাকেজের মূল্য ধরা হচ্ছে ১২০ টাকা। যোহরের নামাজের পর দুপুরের সূর্য পাশ্চিমাকাশেই ঢলতেই সুস্বাদু এই ইফতার পণ্যের জন্য ভীড় বাড়ছে চিলিস রেস্তোরাঁয়।  

চিলিসের বিক্রেতা আল মামুন জানান- মাংসের সেদ্ধ কিমা, পেঁয়াজ কুচি, আদা কুচি, সয়া সস, টমেটো সস, সাদা গোলমরিচের গুঁড়া, কাঁচা মরিচ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি করা হয় এই তাওয়া পরোটা। এটি তৈরির জন্য ঢাকার খ্যাতিমান বাবুর্চি শানু মিয়া ও তার চার সহযোগীকে রমজান মাসে আনা হয় এই রাজশাহীতে।  
দিল্লির ঐতিহ্যবাহী তাওয়া পরোটা তাদের হাতেই তৈরি হয়। চিলিসের অন্যান্য আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বোরহানি। যার দাম প্রতি লিটার ১৫০ টাকা, লাচ্ছি ১৬০ টাকা, লাবাং ১৬০ টাকা, ফালুদা প্রতি কাপ ৭৫ টাকা। এছাড়াও প্রতিবারের মতো রয়েছে খাশির তেহারি ১৮০ টাকা, শাহী হালিম ১৮০ টাকা, গ্রিল চিকেন ৩৪০ টাকা, বোম্বে জিলাপি ১২০ টাকা, শিক কাবাব ৫০ টাকা, লিভার কাবাব ৫০ টাকা, সরমা বিফ ৬০ টাকা, চিকেন টিক্কা ১০০ টাকা, বিফ সাসলিক, চিকেন সাসলিক ও ফিস সাসলিক প্রতি ৪০ টাকা, ফ্রেস চপ ৫০ টাকা, ফ্রাইড চিকেন ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে তাদের রেস্তোরাঁয়।

এক প্রশ্নের জবাবে আল মামুন বলেন, দেশি-বিদেশি বিখ্যাত খাবার ও তার মান বজায় রাখতে প্রতি বছর উৎপাদন খরচ বাড়ছে। আর এসব খাবার সাধারণ বাবুর্চিরা তৈরি করতে পারেন না। ঢাকা থেকে বাবুর্চি আনতে হয়। এ কারণে বিশেষ আইটেমের দাম বেশি। তবে পিঁয়াজু, চপ, কিমা, বুট, খেজুর, জিলাপিসহ অন্য আইটেমের দাম কমই রয়েছে।

এগুলোর পাশাপাশি ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে চিকেন শর্মা ৭০ টাকা ও চিকেন পরোটা ৫০ টাকা। আর ইফতারের বক্স অর্ডার করলে তার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে জালি কবাব, বেগুনি, পিঁয়াজু, আলুর চপ, জিলাপি, বুট, খেজুর, পানি, ম্যাঙ্গো জুস, শশা ও কলা। যার অর্ডার মূল্য ১২০ টাকা। এছাড়া অর্ডার অনুযায়ী ইফতারের বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।