নবাবী আমলের পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারটি এবারের রমজানে ফেনীতেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল হক মিলু। তিনি জানান, ইফতারের আগেই অর্ডার থাকে স্পেশাল এ মেনুটির।
মঙ্গলবার (২২ মে) বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, বেশ আগ্রহের সঙ্গেই ক্রেতারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ রেস্টুরেন্টে বসেই খাচ্ছেন।
রেস্টুরেন্টটির শেফ আবুল খায়ের বলেন, এ খাবারটি হজমের জন্য খুবই উপকারি। সারাদিন রোজা রাখার পর এটি প্রোটিনের অভাব মেটাবে এবং ঠাণ্ডা পানীয় হিসেবে বোরহানির অভাব পূরণ করবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকর এ খাবারটি দামেও কম। প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। ক্রেতারা নির্দ্বিধায় ইফতারের পাতে তুলে নিতে পারেন এ পদটি।
শেফ আবুল খায়েরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ খাবারটি তৈরি করতে প্রয়োজন হয় মাষকলাই ডাল, জিরা, ধনে গুঁড়া, গোলমরিচ, শুকনো মরিচ, লবণ, তেল, গুড় বা চিনি ও টক-মিষ্টি দইয়ের।
তিনি জানান, ইচ্ছে করলে নারীরা ঘরেই তৈরি করতে পারবেন এ ভিন্ন স্বাদের রেসিপিটি। এর জন্য প্রথমেই মাষকলাই ডাল ভালো করে ধুয়ে নিয়ে সাত থেকে আট ঘণ্টা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর জিরা, ধনে, গোলমরিচ ও শুকনো মরিচ আলাদা ঢেলে এক সঙ্গে গুঁড়া করে রেখে ডালের পানি ফেলে দিয়ে শিল-পাটায় মিহি করে বেটে নিতে হবে। এরপর সামান্য পানি দিয়ে ডাল ভালো করে ফেটে নিতে হবে।
একটি পাত্রে সাত কাপ পানির সঙ্গে দুই চা চামচ লবণ মিশিয়ে রাখতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম করতে হবে। তারপর অল্প ডাল নিয়ে চ্যাপ্টা আকারের বড়া বানিয়ে তেলে ভাজতে হবে। ভাজা হলে তেল থেকে তুলে লবণ পানিতে ছাড়তে হবে। দই আলাদা করে ফেটে নিতে হবে। বেশি ঘন মনে হলে সামান্য পানি মেশাতে হবে। চিনি বা গুড়, লবণ ও দই একসঙ্গে মেশাতে হবে। এবার আগে থেকে গুঁড়া করে করে রাখা ভাজা মসলা মেশাতে হবে।
এরপর বড়ার পানি ছেঁকে নিয়ে একটা কাচের বাটিতে বড়াগুলো রেখে বড়ার উপরে দইয়ের মিশ্রণ ঢেলে দিয়ে উপরে ছিটিয়ে দিতে হবে গুঁড়া মশলা। বড়ার উপর দেয়া যেতে পারে পুদিনাপাতা, ধনেপাতা কুচি ও তেঁতুল চাটনিও। শেষে বড়া তিন থেকে চার ঘণ্টা দইয়ে ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে তারপর পরিবেশন করতে হবে।
ক্রাউনওয়েস্টের শেফ আবুল খায়ের জানান, যারা এতো ঝামেলা করতে চান না, তারা এ রেস্টুরেন্টে অর্ডার করলে খুব সহজেই খাবারটি পাওয়া সম্ভব। খুব স্বল্পমূল্যেই পাবেন ক্রেতারা।
রেস্টুরেন্টটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল হক মিলু জানান, পবিত্র রমজান উপলক্ষে তারা রোজাদারদের জন্য মাত্র ৯৯ টাকায় সংযম নামের একটি প্যাকেজ উপহার দিচ্ছেন। এতে থাকছে, চনাবুট ও মুড়ি পরিমাণ মতো, পেঁয়াজু একটি, খেজুর একটি, বেগুনি দু’টি, পানি এক বোতল, শরবত এক গ্লাস, পাকোড়া একটি, জিলাপি একটি, বুরিন্দা এবং সস। এছাড়া রয়েছে আরও নানা আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এসএইচডি/আরবি