ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বড়পুকুরিয়া খনির অচল অবস্থা, অবরোধ কর্মসূচিতে শ্রমিকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
বড়পুকুরিয়া খনির অচল অবস্থা, অবরোধ কর্মসূচিতে শ্রমিকরা শ্রমিক-কর্মচারীরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: বেতনসহ ১৩ দফার দাবিতে কর্মবিরতির পর দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিক-কর্মচারীরা অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছেন। কর্মসূচি পালনের সময় বাইরে থেকে প্রবেশ ও অভ্যন্তর থেকে কাউকে বেরুতে দিচ্ছে না শ্রমিক-কর্মচারীরা।

বুধবার (২৩ মে) সকাল থেকে খনি এলাকায় কর্মবিরতির পাশাপাশি অবরোধ কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা।

এর আগে সোমবার (২০ মে) শ্রমিকদের সঙ্গে খনি কর্তৃপক্ষের বৈঠকের কথা থাকলেও তা হয়নি।

১০ দিন কর্মবিরতির পর মঙ্গলবার (২২ মে) এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।

এদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে অচল প্রায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকা। শ্রমিকদের সঙ্গে একাত্ততা ঘোষণা করে আন্দোলনে যোগ দিয়েছে খনি পাশ্ববর্তী ২০ গ্রাম। ১০দিন থেকে আন্দোলনরত শ্রমিক-কর্মচারীদের পরিবারে দেখা দিয়েছে অভাব-অনটন। আর যে কারণে তাদের পরিবারগুলোর দিন কাটছে অতি কষ্টে। শ্রমিক-কর্মচারীরা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন।  ছবি: বাংলানিউজঅন্যদিকে সোমবার (২০ মে) সকাল থেকে খনি কর্তৃপক্ষ বিদেশি ৩শ শ্রমিক দিয়ে কয়লা উত্তোলন কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে বিদেশি শ্রমিকরা গত দু’দিনে প্রায় ২৫শ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করেছেন। শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবির বিষয় মাথায় না নিয়ে কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলছে, শ্রমিক-কর্মচারীরা কাজে যোগদান করলেই আলোচনা।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান,  ১০দিন কর্মবিরতি পালন করলেও কর্তৃপক্ষ দাবি না মানায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। কর্মসূচি চলাকালীন সময় খনি এলাকায় কাউকে চলাচল করতে দেওয়া হবে না। আমাদের ন্যায্য দাবি অবিলম্বে মানতে হবে। ইতোমধ্যে শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের সব দাবি সম্পর্কে খনি কর্তৃপক্ষকে গত মাসের বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) আন্দোলনে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। দাবি না মেনে নেওয়ায় এ আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয় শ্রমিক-কর্মচারীরা।

আমাদের দাবি মেনে না নিলে পর্যায়ক্রমে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যেই খনিতে উত্তোলন কাজে যোগ দিয়েছে চীনা ৩শ শ্রমিক। তারা দ্রুত উত্তোলন কাজ করে যাচ্ছেন। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজে যোগদানের পরই শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা হবে। গত সোমবার শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকের কথা থাকলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধি যায়নি। তিনি শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে যোগ দিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময় ১৩২৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।