ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দু’দেশের ঐতিহাসিক বন্ধন-মৈত্রীর প্রতীক ‘বাংলাদেশ ভবন’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
দু’দেশের ঐতিহাসিক বন্ধন-মৈত্রীর প্রতীক ‘বাংলাদেশ ভবন’ বাংলাদেশ ভবন

ঢাকা: শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে ‘বাংলাদেশ ভবন’। আগামী ২৫ মে সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে উদ্বোধন করবেন এ ভবন। উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ও।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করা হবে। গত দু’বছর ধরে পুরোদমে বাংলাদেশ ভবনের নির্মাণ কাজ চলেছে।

এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা। বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য ভারতে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব ও মৈত্রীর প্রতীক বহন করবে এ ভবন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে ‘জাপান ভবন’, ‘চীন ভবন’। এই দুই ভবনে তুলে ধরা হয়েছে সেসব দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। এখন সেখানে নির্মিত হলো ‘বাংলাদেশ ভবন’। এই ভবনের বিভিন্ন কক্ষে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।

বাংলাদেশ ভবনে থাকছে একটি লাইব্রেরি। যাতে রয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি বই। এসব বইয়ের বেশিরভাগই রবীন্দ্রনাথের ওপর। এছাড়াও বাংলাদেশ ভবনের লাইব্রেরিতে কবি কাজী নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান নিয়ে নানা ধরনের বই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারগারের দিনলিপি ইত্যাদি বইও স্থান পাবে এ লাইব্রেরিতে।

বাংলাদেশ ভবনে রয়েছে একটি বড় অডিটোরিয়াম। অডিটোরিয়ামটিতে আসন ৪৫০টি। এতবড় অডিটোরিয়াম আর নেই বিশ্বভারতীতে। বিশ্বমানের এ অডিটোরিয়ামে শব্দ নিরোধক, অত্যাধুনিক আলোর ব্যবস্থা ছাড়াও স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসভিত্তিক একটি সংগ্রহশালাও রয়েছে এ ভবনে। রয়েছে একটি ক্যাফেটেরিয়াও।  

দুই বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ভবন। এর আয়তন ৪ হাজার ১০০ বর্গ মিটার। লাইব্রেরি ছাড়াও দু’টি স্টাডি সেন্টার রয়েছে। কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে একটি জাদুঘরও।  

২০১৩ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বৈঠকের পর এ ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো। এরপর ২০১৪ সালের মার্চ মাসে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার এ ভবন নির্মাণে ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। বাংলাদেশ অর্থ বরাদ্দ দিলেও ভবনের জমি দিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।  

বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি বাংলাদেশ সরকার শুরু থেকেই তদারকি করে আসছে। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, দিল্লিতে নিযুক্ত  বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, কলকাতার সাবেক ডেপুটি হাইকমিশনার জকি আহাদ, বর্তমান ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন। এখন অপেক্ষা শুধু উদ্বোধনের।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।