মঙ্গলবার (২২ মে) ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গ্রাম পুলিশ প্রধান ও নিহতের স্বজন ছৈয়দ আলম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-মনজয়পাড়া গ্রামের মৃত রাজেন্দ্র বড়ুয়ার চার ছেলে সোপায়েন বড়ুয়া, লিটন বড়ুয়া, ভুট্টু বড়ুয়া ও ভুতিয়া।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর শেখ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনায় বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মুফিদুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্তি জেলা পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাত, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এসএম সারওয়ার কামাল, ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইকবাল হোসেন ও ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সারওয়ার কামাল বাংলানিউজকে জানান, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে ওই স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে মাটি কেটে ড্রেন নির্মাণকাজ চলছিল। এসময় হতাহতের ঘটনায় নিহতের স্বজন বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরির্দশন করে এলাকার মানুষের অভিযোগ শুনেছে।
গত সোমবার (২১ মে) বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মনজয়পাড়ায় একটি মৎস্য প্রজেক্টের পানি চলাচলের ড্রেন নির্মাণ করার সময় পাহাড় ধসে এক নারীসহ তিন শ্রমিক নিহত ও দুই শ্রমিক আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
আরআর