মঙ্গলবার (২২ মে) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানার আদালত এ আদেশ দেন।
সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় ফেনী শহরের গ্র্যান্ড হক টাওয়ারের মায়াবী ফ্যাশনের কর্মচারী মো. ফরহাদ ইয়াছিনকে ২০ দিন, একই দোকানের কর্মচারী জহিরুল ইসলাম বাবুকে দুই মাসের বিনাশ্রম এবং একই অপরাধে মো. জামাল উদ্দিনক ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
এর আগে বিচারক ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক শামসুল আলমকে একই অপরাধে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা বাংলানিউজকে জানান, ফেনীর গ্রান্ড হক টাওয়ারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সময় অপরাধীরা আশপাশের দোকান ভাংচুর করে ও ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে ইট নিক্ষেপ করে। একসময় অপরাধীরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন মায়াবী ফ্যাশনের ৪ হাজার ৫০০ পিস শাড়ির মধ্যে প্রায় ২ হাজার পিসের কোনো বৈধ কাগজ প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেখাতে ব্যর্থ হন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক শাড়ি অবৈধ প্রক্রিয়ার এনেছেন এই অভিযোগে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উত্তেজিত হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন মায়াবীর মালিক। প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা নিচে গিয়ে গাড়ি ভাংচুর করেন।
অভিযানে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিদর্শক আশিকুজ্জামান, ফিল্ড অফিসার সাইফুর রহমান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. আব্দুর রহমান ও জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এসএইচডি/আরআর