ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে এখন ‘হার্ড শোল্ডার রিপেয়ারিং’ অর্থাৎ মহাসড়কের দু’পাশের অংশটুকুর সংস্কারকাজ চলছে। ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ওই রিপেয়ারিংয়ের কাজ চলবে ঈদের ১০ দিন আগ পর্যন্ত।
এক সময়ে ‘মরণফাঁদ’ হিসেবে পরিচিত ছিলো ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এ অংশটুকু। তবে এখনকার চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। অতীতের তুলনায় অনেকাংশে কমেছে এখানকার সড়ক দুর্ঘটনা। মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতে নির্মাণ করা হয়েছে ৪০টি ডিভাইডার। এতে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার লাখ লাখ মানুষের অন্যতম যাতায়াত-মাধ্যম ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক। ঈদ অথবা অন্য যেকোনো ধর্মীয় উৎসবে বাড়তি যানবাহনের অনেক বেশি চাপ পড়ে ওই মহাসড়কে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা, লক্কর-ঝক্কর যানবাহন, তত্রতত্র পাকিং এবং ফেরি সংকটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয় সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। তবে এবারের ঈদে মহাসড়কের অবস্থা অন্যবারের চেয়ে ভালো। তাই এবার তেমন কোনো দুর্ভোগের আশঙ্কা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মর্কতারা।
বিআইডব্লিউটিসি পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৬টি ফেরি রয়েছে। তবে ঈদের সময় যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ থাকে। সে সময় ওই ফেরিগুলোর সঙ্গে আরও ৪ থেকে ৫টি ফেরি বহরে যোগ করার প্রস্তুতি রয়েছে।
গোলড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, যানবাহন চালক ও পথচারীদের অসতর্কতা, চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে। এসব বিষয়ে নিয়মিত মামলার পাশাপাশি চালকদের নিয়ে সচেতনতামূলক বিভিন্ন সভা-সেমিনার করা হচ্ছে। এতে মহাসড়কের দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, ঈদে যানবাহনের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে মহাসড়কের নবীনগর থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা পর্যন্ত হার্ড শোল্ডার রিপেয়ারিং ও রাস্তা মার্কিংয়ের কাজ চলছে। ২০ রমজান অর্থাৎ ঈদের ১০ দিন আগ পর্যন্ত একাজ চলবে।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মহিবুল হক বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের প্রায় ৫৬ কিলোমিটার অংশের অবস্থা বেশ ভালো। মহাসড়কের যে সমস্ত জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব জায়গায় হার্ড শোল্ডার রিপেয়ারিং ও রাস্তা মার্কিংয়ের কাজ চলছে।
অন্য সময়ের চেয়ে এবারের ঈদে মহাসড়কের অবস্থা বেশ ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
কেএসএইচ/আরবি