চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার (২২ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন মন্ত্রী।
সরকারি দলের লোকদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
টেকনাফ-উখিয়ায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বদির বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না। সে বদি হোক আর যেই হোক। সঠিক প্রমাণাদি আমরা যার বিরুদ্ধে পাচ্ছি আমরা তাকেই গ্রেফতার করছি। আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিতে পারি, সে সংসদ সদস্য হোক আর যেই হোক। তথ্য যেসব আসছে আমরা প্রমাণাদি যোগাড় না করে নক করছি না।
'তার বিরুদ্ধে কি কোনো প্রমাণ নাই?'- এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাছে যদি প্রমাণ থাকে পাঠিয়ে দিতে পারেন… শুধু তার নয়, কারো বিরুদ্ধে যদি প্রমাণ থাকে আপনারা আমাদের কাছে পাঠান। আমাদের কাছে যাদের তথ্য-প্রমাণ আছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সংসদীয় কমিটির তালিকায় বদির নাম থাকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আপানারা শুনে শুনে কথা বলছেন, অনুমানভিত্তিক কথা বলছেন। আর আমরা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সব দেখছি। আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমরা তথ্য-প্রমাণভিত্তিক কাজ করছি।
সংসদ সদস্য হোক, সরকারের উচ্চপদস্থ যেই হোক, পুলিশ হোক যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা এবার ছাড় পাবে না- এই মেসেজ কি ক্লিয়ার?
এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মেসেজ ইজ ভেরি ক্লিয়ার। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পরিষ্কার নির্দেশনা যে, এই ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। সংসদ সদস্য হোক, সরকারি কর্মকর্তা হোক, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা হোক, ইভেন সাংবাদিক হোক জড়িত কাউকে ছাড় দেব না।
‘বদির বিরুদ্ধে কী তথ্য আছে আপনি আমাকে দিন, তার বিরুদ্ধে কী তথ্য আপনার কাছে আছে, আমার কাছে দিন। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সেই তথ্য অনুযায়ী অপারেশন চলছে, সে বদি হোক কিংবা যেই হোক। আমি ক্লিয়ার করে বলেছি, এরপর আর কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। ’
'বদির বিরুদ্ধে আপনার কাছে কোনো তথ্য (মাদক) নাই?'- প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই আছে। সেগুলো আমাদের আরো প্রমাণের দরকার, না প্রমাণ করলে আমরা যাচ্ছি না। এটিই মেসেজ। আপনি যেমন বদির বিরুদ্ধে বলছেন, এরকম অনেক তথ্য আমাদের কাছে আছে।
'মাদকের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা?'- এই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা হবে। কারণ সে যখন বাহিনীতে প্রবেশ করে তখন ওয়াদা করেছে। পুলিশপ্রধান (আইজিপি) এই ব্যবস্থাটা নেবেন। যদি তিনি মনে করেন আইনের আশ্রয় নেওয়া উচিত, আর যদি মনে করেন বিভাগীয় ব্যবস্থা…।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ/জেএম