ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যারা আক্রমণ করছেন তারা হতাহত হচ্ছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
যারা আক্রমণ করছেন তারা হতাহত হচ্ছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল/ফাইল ছবি

ঢাকা: অভিযানের সময় যেসব মাদক ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করার চেষ্টা করেছে তারাই শুধু আহত কিংবা নিহত হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

মঙ্গলবার (২২ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।  

তিনি বলেন, যারা হঠাৎ করেই আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন কিংবা গুলিবর্ষণ করার প্রচেষ্টা নেন তারাই শুধু আহত কিংবা নিহত হচ্ছেন।

যাদের আমরা ধরে ফেলছি তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক বিচার হচ্ছে, দণ্ডপ্রাপ্ত এবং কারান্তরীণ হচ্ছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক আমাদের বাহিনী যখনই হাই প্রোফাইলের মাদক ব্যবসায়ীদের যখনই ধরতে গিয়েছেন তারা হয় পালিয়ে গিয়েছেন কিংবা যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন। এই সমস্ত যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার সময়ে পুলিশের উপর অ্যাটাক করলে কাউন্টার অ্যাটাকের আইন আমাদের দেশে রয়েছে। আত্মরক্ষার্থে সেই ঘটনাটিই ঘটেছে।  

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন মাদক যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তারা অত্যন্ত শক্তিশালী, প্রভাবশালী। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে আরম্ভ করে অবৈধ অস্ত্র সবই রয়েছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী বলুন, নিরাপত্তা বাহিনী বলুন, তারা যখনই গিয়েছে তখনই তাদের উপর অ্যাটাক হয়েছে। অ্যাটকের ফলশ্রুতিতে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।

বিভিন্ন উপায়ে মাদক আমাদের সীমানার মধ্যে ঢুকে যায় জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্ডারগুলো সুরক্ষিত হলেও সমুদ্রপথ-নদীপথ দিয়ে ইয়াবা নামক মাদককে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলাম না। আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা হচ্ছে, বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারতের সঙ্গে কথা হচ্ছে, মায়ানমারও বলে যাচ্ছে। কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল যেটা সাহায্য করার কথা সেটা তারা করছিল না। ইয়াবার বিস্তৃতি ঠিক এরকমভাবে ঘটেছে।    
 
‘ইয়াবা সেবন করতে গিয়ে মেয়ে তার বাবা-মাকে হত্যা করেছিল। এটার বিস্তৃতি এমনভাবে ঘটেছিল, অনেকে গার্ডিয়ান নীরবে-নিভৃতে ছেলে-মেয়ের জন্য কাঁদছিল, এরকম একটা পরিস্থিতি। আমরা ২০২১ বা ২০৪১-এ যে স্বপ্ন দেখছি, যদি এই মাদককে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি তাহলে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। ’
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যেমন সন্ত্রাস এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে, ঠিক মাদকের বিরুদ্ধে একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করছি, সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি, ছাত্র-শিক্ষক-জনতা-মসজিদের ইমামদের বলছি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করুন। সবাই মিলে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।
 
মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে বন্দুকযুদ্ধ কি বেড়ে গেছে- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আমরা কারো বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধে যাচ্ছি না। যারা ফায়ার ওপেন করে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়। এই ৭/৮ দিনে দুই হাজারের অধিক কারাগারে অন্তরীণ আছে।
 
যারা মারা পড়ছে তারা সবাই বাহক মাত্র- একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে মন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, আপনারা কীভাবে জানলেন বাহক? আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, আমরা সব ধরনের গোয়েন্দা তথ্য ভিত্তিক অভিযান পরিচালনা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।