সোমবার (২২ মে) রাত পৌনে ২টার দিকে আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনের অদূরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। কামরুজ্জামান সাদু আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামের মৃত ইমদাদুল হকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, আলমডাঙ্গা স্টেশনের পশ্চিম দিকের একটি জঙ্গলের ভেতরে ৮/১০ জন মাদক বিক্রেতা অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ওই স্থানে অভিযান চালায়। রাত দেড়টার দিকে পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মাদক বিক্রেতারা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কামরুজ্জামানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বন্দুকযুদ্ধের সময় আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হামিদ, কনস্টেবল মাসুদ রানা ও কনস্টেবল রাকিবুল হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাস্থল তল্লাশি করে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদক পাচারসহ ১২টি মামলা রয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৯ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এনটি