রমজানের শুরু থেকেই এবার ক্রেতা টানছে রাজশাহীর অভিজাত রেস্তোরাঁ চিলিসের ‘স্পেশাল কাবাব’। রোজার চতুর্থ দিন সোমবার (২১ মে) লম্বা লাইন দিয়ে কিনতে দেখা গেছে এ কাবাব।
চিলিসের এ বিশেষ আকর্ষণ এবার আরও আকর্ষণীয় হয়ে রোজাদারদের পাতে উঠছে বলে জানান চিলিসের বিক্রেতা আল-মামুন। তিনি বলেন, বরাবরের মতো এবারও ক্রেতা সন্তুষ্টি প্রথম টার্গেট। আর তাই সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি স্পেশাল কাবাব নিয়ে প্রতি বছরই হাজির হই। এবার নিয়ে এসেছি টারকিস চিকেন কাবাব।
এর দাম পড়ছে প্রতি পিস ১শ’ টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে টারকিস চাপলি। এ কাবাব প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এবারের ইফতারে এ দুই কাবাবের চাহিদা প্রচুর। নতুনের তালিকায় রয়েছে তান্দুরি চিকেন ও স্পেশাল মোরগ পোলাও। এ দুটি ইফতার পণ্য মিলছে প্রতি পিস ১শ’ টাকা এবং ১৫০ টাকা ও ২৫০ টাকা দরে। রয়েছে ঐতিহ্যবাহী খাসি ও গরুর শাহী হালিম, খাসির তেহারী, রেশমি জিলাপি ও বোম্বে জিলাপি।
কাবাবের পাশাপাশি এবার খাসির শাহী হালিম ৭০ টাকা, ১৩০ টাকা ও ২৫০ টাকায়, গরুর শাহী হালিম ৬০ টাকা, ১২০ টাকা ও ২শ’ টাকায়, খাসির তেহরী ১৫০ টাকা ও ২৫০ টাকা এবং রেশমি জিলাপি ১শ’ টাকা কেজি, বোম্বে জিলাপি ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
একইসঙ্গে গ্রিল চিকেন ৩৪০ টাকা, গরুর শিক কাবাব ৫০ টাকা, নার্গিস কাবাব ৩০ টাকা, ফ্রাইড চিকেন ৩০ টাকা, দই বড়া ২৫ টাকা, খাসির কলিজার সিঙ্গাড়া ১০ টাকা, বিফ সাসলিক ৬০ টাকা, চিকেন সাসলিক ৫০ টাকা, খাসির ফ্রেস চপ ২৫ টাকা, খাসির শিক ৬০ টাকা, খাসির লিভার কাবাব ৬০ টাকা, খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি ১৫০ টাকা ও ২৫০ টাকা, হট বিফ গ্রিল ১৫০ টাকা ও তাওয়া পরোটা ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে আল-মামুন বলেন, নিত্যপণ্য সামগ্রীর দাম বাড়ায় এবার বেশ কিছু ইফতার আইটেমের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে অন্য আইটেমগুলোর দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা হয়েছে। এবার প্রথম থেকেই বিক্রির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বিভিন্ন পদের কাবাব, গরুর শাহী হালিম ও রেশমি জিলাপি।
এছাড়া ভেতরে ও বাইরে ইফতার করার জন্য দুটি প্যাকেজে ইফতার মিলছে চিলিসে। এর মধ্য ২শ’ টাকায় সাত পদের এবং ২২০ টাকায় আট পদের ভারী ইফতার আয়োজন রয়েছে। খোলা বিক্রির পাশাপাশি পার্সেলের ব্যবস্থাও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
এসএস/আরআর