কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য সোমবার (২১ মে) বিকেলে বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম শামীম ইকবালকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং একই অপরাধে সহকারী পরিচালক বীর কান্ত রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এস এম ইকবাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনায় কর্মরত অবস্থায় একটি দুর্নীতির মামলায় এক বছরের বেশি সময় চার্জশিট দাখিল না করে নিজের কাছে রেখে দেন। দুদকের বিভাগীয় তদন্তে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচারণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০ মে, ২০১৮ (রোববার) তাকে দুদকের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এই বরখাস্ত আদেশের ফলে তিনি কোনো অবসর সুবিধা পাবেন না। অন্যদিকে সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক বীর কান্ত রায় একটি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মামলায় তদন্ত কার্যক্রমে এক বছরেরও বেশি (৩৮৪ দিন) সময়ক্ষেপণ করেন।
দুদক কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে প্রমাণ পান যে বীর কান্ত রায় কোন না কোনভাবে আসামিদের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রম বিলম্বিত করেছেন। এ অপরাধে তাকে ২১ মে, ২০১৮ (সোমবার) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
দুদক পরিচালক (প্রশাসন) মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে জড়িয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতেই দুদক এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। দুদকে প্রাতিষ্ঠানিক অনুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা,মে ২১, ২০১৮
আরএম/এইচএ/জেডএস