রোববার (২০ মে) রাতে ভুক্তভোগী ইব্রাহীম হাওলাদার বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মামলাটি করেন। তবে সোমবার (২১ মে) দুপুর পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে শনিবার (১৯ মে) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার বাধাল গ্রামে অর্পিত সম্পত্তি জোর করে দখলে স্থানীয় দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় প্রতিবন্ধীসহ ভূমিহীনদের ২৫টি বসতভিটা পুড়িয়ে দেয় দুর্বিত্তরা। এরপর থেকে আতঙ্কে ভূমিহীন অসহায় পরিবারগুলো পালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রভাবশালীদের ভয়ে নিজেদের বসতভিটায় যেতে পারছে না ক্ষতিগ্রস্তরা।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ভূমিহীন পল্লিতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
২০১৪ সালে শরণখোলা উপজেলারখোন্তাকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাধাল গ্রামের অর্পিত সম্পত্তি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও অসহায় ভূমিহীন ১৫টি পরিবারের নামে (বন্দোবস্ত) বরাদ্দ দেয়। যাদের নামে সরকার জমি বরাদ্দ দিয়েছে তারা ওই জমিতে না থেকে ওই এলাকার অসহায় ভূমিহীন দিনমজুর, প্রতিবন্ধীদের ঘর করে থাকার অনুমতি দেন। সেই থেকে তারা ওই জমিতে ধানের খড়, কাঠ, বাঁশ ও গোলপাতা দিয়ে ঘর বেঁধে বসবাস করে আসছেন।
যাদের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- খলিল হাওলাদার, শাহ আলম হাওলাদার, জামাল হাওলাদার, সুলতান হাওলাদার, ফারুক হাওলাদার, আমির হাওলাদার, মোশারেফ হাওলাদার, অলি হাওলাদার, রুমা বেগম, ইসমাঈল, রিনা বেগম, আবুল কালাম, ইব্রাহিম, সোহেল ফকির, শাহজাহান ফকির ও দুলাল ফকির।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
জিপি