সোমবার (২১ মে) সকালে শোবার ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শ্যামলী উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের রশিক নগর-শিরোটোলা গ্রামের কবির হোসেনের মেয়ে এবং পার ঘোড়াপাখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী।
শিবগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিনের মত কবিরের স্ত্রী (শ্যামলীর মা) সাজেদা বেগম তার দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোরে সেহরি খাওয়ার সময় তিনি না ওঠায় পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন শ্যামলীর মাকে ডাকতে গিয়ে দেখেন বাইরে থেকে দরজা লাগানো। এসময় এলাকাবাসীরা দরজা খুলে শ্যামলীর মা ও তার দুই মেয়েকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান।
পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। কিছুক্ষণ পরে শ্যামলীর মা ও তার ছোট বোনের জ্ঞান ফিরে এলে এ বিষয়ে তারা কিছুই বলতে পারেন না। শ্যামলির মারা যাওয়ার সঠিক কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।
নিহত শ্যামলীর মা আলেয়া বেগম জানান, আমার দুই মেয়ে ও আমার গলায় স্বর্ণের চেইন ছিল। এছাড়া দুই মেয়ের পায়ে নূপুর ছিল সেগুলো খুলে নিয়ে গেছে হত্যাকারীরা। এখনো সংজ্ঞাহীন রয়েছে বড় মেয়ে। তবে বাড়ির অন্যান্য মালামাল ঠিক ঠাক রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে বাড়িতে চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশে কেউ এসে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহতের গলায় ওড়না পেঁচানো থাকায় পুলিশের ধারণা তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে মারা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮
আরএ