রোববার (২০ মে) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আরেফিন বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনার বাগেরহাট জেলা সদরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সীমা হত্যা মামলার আসামি সবুজকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, মোবাইল ফোনে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে রাজাপুর উপজেলার বাশতলা গ্রামের কাসেম খন্দকারের ছেলে প্রবাসী মিজান খন্দকারের সঙ্গে পিরোজপুরের খামকাটা গ্রামের মৃত আমজেদ হোসেনের মেয়ে সীমা আক্তারের বিয়ে হয়।
মিজানের প্রথমপক্ষের স্ত্রী থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী সীমা স্বামীর বাড়িতে কখনো বসবাস করেন নি। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাজাপুরে আলাদা বাসাভাড়া করা হয়েছে বলে মিজান তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে পিরোজপুর থেকে রাজাপুরে নিয়ে আসেন।
এরপর বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সীমা মোবাইল ফোনে তার ভাই বাদশাকে জানায়, সে বিপদের মধ্যে রয়েছে। এরপর সীমার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। একইদিন রাতে সীমাকে হত্যা করে মরদেহ বিষখালী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় স্বামী মিজান খন্দকার, সবুজ খন্দকার, বোন শাহনাজ বেগম ও ভগ্নিপতি মিজান হাওলাদারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন সীমার বড়ভাই মাজেদুল ইসলাম।
পরে ঢাকার মতিঝিল থেকে স্বামী মিজান খন্দকারকে ও রাজাপুরের সাউদপুর থেকে ভগ্নিপতি মিজান হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
এমএস/ওএইচ/