মার্চ মাসে সারা দেশে ৮১ লাখ যাত্রী রেলপথে যাতায়াত করেছেন। সেই হিসাবে দৈনিক ২ লাখ ৭০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছেন রেলপথে।
আগামী ২ জুন থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ২৪ মে রেলভবনে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠক হবে। ওই বৈঠকেই নেওয়া হবে সিন্ধান্ত।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান বাংলানিউজকে বলেন, এবার ঈদযাত্রায় নতুন কোনো চমক থাকছে না। রেলওয়ের যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা বেড়েছে এটাই উপভোগ করবেন যাত্রীরা। রেলপথে মার্চ মাসে দৈনিক ২ লাখ ৭০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছেন। ঈদে আরও ৫০ হাজার বাড়বে।
ঈদে অগ্রিম টিকিট বিক্রি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। তবে একটা খসড়া করা হয়েছে ২ জুন, শুক্রবার থেকে টিকিট বিক্রির। ২ জুন দেওয়া হবে ১১ জুনের ট্রেনের টিকিট। ৩ জুন ১২, ৪ জুন ১৩, ৫ জুন ১৪ এবং ৬ জুন দেওয়া হবে ১৫ তারিখের ট্রেনের টিকিট। তবে এটা চূড়ান্ত বলা যাবে না। এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও হতে পারে।
রেলওয়ে সূত্রমতে, ঈদে মোট ৪৭টি বিশেষ ট্রেন থাকছে। এর মধ্যে পূর্বাঞ্চলে ২৪টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ২৩টি। ঈদের ৫ দিন আগে এবং ৭ দিন পর পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। ১২ দিন কোনো বন্ধ থাকবে না। ১২ দিন সারাদেশে টানা সব রুটেই ট্রেন চলাচল করবে।
এছাড়া শোলাকিয়া ঈদগাহয়ে যাতায়াতের জন্য ঈদের দিন ভৈরববাজার থেকে কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ রুটে দু’টি ট্রেন চালানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
এমআইএস/এএ