রাজশাহী রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ও ঐতিহ্যবাহী রহমানিয়া হোটেলের স্বত্ত্বাধিকারী রিয়াজ আহমেদ খান বাংলানিউজকে জানান, আজ থেকে প্রায় ৬৭ বছর আগে ১৯৫১ সালে তার দাদা আনিসুর রহমান খান ভারত থেকে সুস্বাদু এ খাবারটি রাজশাহীতে নিয়ে এসে প্রচলন শুরু করেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত শাহী ফিরনির কদর এক রত্তিও কমেনি।
যুগের পর যুগ ধরে স্বাদের ঐতিহ্য বহন করে আসছে এই শাহী ফিরনি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্বাদ গ্রহণ করে চলেছে এই রহমানিয়ার ফিরনির। সেসময় মূল্য ছিল ছয় আনা। আর এখন ১৫ টাকা। তবে স্বাদের তুলনায় এই দাম যুগ হিসেবে এখনও অনেক কম। রিয়াজ বলেন, দুধ, পোলাওয়ের চালের গুড়সহ বিভিন্ন উপাদান দিয়ে এই শাহী ফিরনি তৈরি করার পর মাটির একটি পাত্রে করে জমিয়ে রাখা হয়। পরে তা বিক্রি করা হয়। তবে আগে প্রতিদিন পাওয়া গেলেও বর্তমানে রমজান ও বিশেষ অর্ডার ছাড়া এ শাহী ফিরনি তৈরি করা হয় না। স্বাদ ও গুণে অতুলনীয় এই ফিরনির জন্য রোজাদারদের মধ্যে প্রচুর চাহিদা। তাই প্রথম রমজান থেকেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে এই আইটেম। নাম-ডাক থাকায় ভারতের রাজধানীতেও এই ফিরনির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রমজান মাসে শাহী ফিরনি তাদের সেরা আকর্ষণ। এছাড়াও রমজান জুড়ে রহমানিয়া হোটেলে ইফতারের বিশাল আয়োজন রয়েছে। রহমানিয়ার ইফতারের প্রতি প্যাকেটে থাকছে- বুট, খেজুর, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, সমুচা, কলা, শসা, মুড়ি, কাঁচা বুট এবং নিমকপাড়া। যার মূল্য ৫০ টাকা। এছাড়া খাসির তেহারি হাফ প্লেট ৬০ টাকা, চিকেন বিরিয়ানি হাফ প্লেট ১শ’ টাকা, কাচ্চি ১০০ টাকা, শিক কাবাব ৩০ টাকা, কাঠি কাবাব ১৫ টাকা, চিকেন কাবাব ৩০ টাকা, চিকেন টিক্কা ২০ টাকা, চিকেন সাসলিক ২৫ টাকা, ক্রিসপি চিকেন ৬০ টাকা, গ্রিলড চিকেন ৮০-৩২০ টাকা, শামী কাবাব ৫০ টাকা, সমুচা খাসির (কিমা) ৬ টাকা, শাহী পেঁয়াজু ৫ টাকা, কোপ্তা ৫ টাকা, ঘি দেওয়া স্পেশাল হালিম ৮০-১৪০ টাকা, সিঙ্গারা ৫ টাকা, হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি ১২০-২০০ টাকা, জিলাপি ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
এসএস/আরবি/