পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৯ মে) সন্ধ্যার পর ৭ নং ওয়ার্ডে দফায় দফায় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি দেশি পিস্তলসহ ইমরান নামে এক যুবককে আটক করেছে।
এ সময় যমুনা গেট এলাকা থেকে সানি, সুমন নামে দুই যুবকসহ আরো ৬ জনকে আটক করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে রাবার বুলেটের বিস্ফোরিত ৩টি খোসা উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনাম মুন্সি ইফতার শেষে হাজীবাড়ি সংলগ্ন মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় শওকত হোসেন সোনা, রুবেল, ইকতিয়ারসহ আরো ৩/৪ জন যুবক এনাম মুন্সিকে মারধর করে আহত করেন।
এ সময় এনাম মুন্সি প্রাণ রক্ষার জন্য দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে কয়েকটি রাবার বুলেট ছোড়া হয় বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মেঘনা গেট সংলগ্ন মৃত ওয়াদুদ মুন্সি নামে সাবেক এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৭ নং ওয়ার্ডে প্রতিপক্ষ দুটি গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানায়, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি, ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে রাত ৯টায় এনাম মুন্সি গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে ৭ নং ওয়ার্ড আ’লীগের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় র্যাব-৬ সদস্যদের হস্তক্ষেপে মিছিল বন্ধ হয়। বর্তমানে নগরীর ৭ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনাকে কেন্দ্র থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন উপ-অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৮
এমআরএম/এমএএম/এমজেএফ