শনিবার (১৯ মে) বিকেলে খুলনা মহানগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডে পাইওনিয়ার মহিলা কলেজের সামনে ‘নানার হালিম’ কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাড়ি বাগেরহাটে।
নগরীর মৌলভীপাড়া থেকে নানার হালিম কিনতে আসা গৃহিনী মিনা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরই এখানের হালিম না হলে ইফতারিতে যেনো তৃপ্তি মেটে না। রান্নার কলাকৌশল ও বৈচিত্র্যময় স্বাদের কারণে নানার হালিম বেশ জনপ্রিয়। শহিদুল ও মিনার মতো ভোজনরসিক মানুষের খাবারের তালিকায় নানার হালিম একটি বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। বাহারি ইফতারে এ হালিম না থাকলে যেনো পূর্ণতা আসে না। তাই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় করছেন কলেজের সামনের এ নানার হালিমের অস্থায়ী দোকানে।
ক্রেতাদের সবার এক কথা, নানার হালিম খুলনার বিখ্যাত ইফতার আইটেম।
নানার হালিমের মালিকের নাম হজরত আলী দফাদার (৭৪)। তার এ নাম প্রায় হারিয়েই গেছে নানা সম্বোধনের আড়ালে! সবাই তাকে ডাকেন নানা নামেই। ইফতারিতে মিষ্টি জাতীয় খাবারের পাশাপাশি ঝাল খাবার হিসেবে নানার হালিমের জুড়ি নেই বলে প্রতিবারের ন্যায় এবারও খুলনার বিখ্যাত নানার হালিমের দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
১৯৯৩ সাল থেকে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে হালিম বিক্রি করছেন হজরত আলী। নামে তাকে কেউ না চিনলেও সবাই তাকে নানা হিসেবে চেনেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রোজাদারদের তৃপ্ত করতে ২৫ বছর ধরে হালিম রান্না করি। হয়তো এ কারণেই মানুষের কাছে আমার হালিম প্রিয়। দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাটির সানকিতে ১০০ টাকা, ১৫০ টাকা, ২০০ টাকা, ৩০০ টাকা, ৬০০ টাকা ও ৮০০ টাকা দাম এ হালিমের।
ভেজালমুক্ত ও মান ভালো হওয়ার কারণেই হালিমের চাহিদা বেশি বলে দাবি করলেন তিনি।
নানার হালিমের কর্মচারী হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন ৭০-৮০ কেজি ডাল ও ৮০ কেজি মাংস দিয়ে ছয় ডেকচি হালিম তৈরি করা হয়। নানার নেতৃত্বে ১১ জন কর্মচারী কাজ করেন এখানে। বেচা-বিক্রি ভালো বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
এমআরএম/টিএ